নজরে ভোটব্যাংক আর তাই পাখির চোখ এখন বিহার আর সেকথা মাথায় রেখেই ভোট্মুখী বিহারে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকে তীব্র কটাক্ষ করলেন আরজেডি এবং কংগ্রেসকে। জানালেন দলিত এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কোন সম্মান নেই আরজেডি এবং কংগ্রেসের।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার এক নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল অর্থাৎ আরজেডি এবং কংগ্রেসকে। তিনি অভিযোগ করেন, এই বিরোধী দলগুলি শুধু বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরকেই অপমান করছে না, বরং দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির স্বপ্নকেও বিশ্বাসঘাতকতা করছে।
বিহারে এখন ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি-জেডিইউ নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। ভোটের আগে বিহারে গিয়ে মোদি একদিকে যেমন সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরলেন এর পাশাপাশি পরিবারতন্ত্র নিয়ে আরজেডি এবং কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন। তিনি এ-ও জানান, বিহারের উন্নয়ন থামবে না! একই সঙ্গে আরজেডি এবং কংগ্রেসের শাসনকালকে জঙ্গলরাজ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
মোদির অভিযোগ বিরোধী দলগুলি শুধু বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরকেই অপমান করছে না, বরং দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির স্বপ্নকেও বিশ্বাসঘাতকতা করছে। তিনি বলেন, “আরজেডি ও কংগ্রেসের নেতারা দেশের সংবিধানের রচয়িতার ছবি পায়ের কাছে রাখেন। আমি তাঁর ছবি হৃদয়ের কাছাকাছি রাখি।” এরপর তিনি যোগ করেন, “আরজেডি কখনও ক্ষমা চাইবে না, কারণ ওদের মধ্যে দলিত ও পিছিয়ে পড়াদের জন্য কোনও শ্রদ্ধাবোধ নেই।” তাঁর কথায়, ‘‘আমরা বলি ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’, কিন্তু আরজেডি এবং কংগ্রেস ‘পরিবার কা সাথ, পরিবার কা বিকাশ’-এ বিশ্বাসী। কংগ্রেসরাজই ভারতের দারিদ্র্যের জন্য দায়ী। দলের নেতাদের পরিবার যত ধনী হয়ে ওঠেন, মানুষ ততই গরিব হতে থাকেন।’’
এর পাশাপাশি বিহারের উন্নয়নের জন্যেও একাধি প্রতিশ্রুতি শোনা গেল মোদির মুখে। বিহারে দাঁড়িয়ে মোদির আশ্বাস, ভারতের উন্নতিতে বড় ভূমিকা পালন করবে বিহার। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, অন্য দেশের রাষ্ট্রনেতারা ভারতের উন্নতিকে সমীহর চোখে দেখছেন। মোদিরর আশ্বাস, ওরা মনে করছেন, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার হয়ে উঠছে… বিহার এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরও বলেন বিহারে অন্তত ৩ কোটি পাকা বাড়ি তৈরি করা হবে। বিহারের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মোদির বক্তব্য ‘মোদি শান্তিতে ঘুমোবে না, আপনাদের সবার জন্য কাজ করবে। আপনারা সবাই আমার পরিবার।’
উল্লেখ্য, গত পাঁচ মাসে এই নিয়ে ৫ বার বিহার সফরে গেলেন মোদি। তাঁর জনসভা যে জেলায় ছিল, সেই সিওয়ান এবং তার নিকটবর্তী জেলা গোপালগঞ্জ, ছাপরা আরজেডির শক্তঘাঁটি। সেই ঘাঁটিতে মোদি ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করলেন বলে দাবি অনেকের।