আমির খানের বহু প্রতীক্ষিত ছবি “সীতারে জমিন পর” বক্স অফিসে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। ছবিটি সমালোচক এবং দর্শক উভয়ের কাছ থেকে ইতিবাচক পর্যালোচনা পেয়েছে।
চক্রযুদ্ধ ঘোষ, সাংবাদিক – Saclink ওয়েবসাইট অনুসারে, ছবিটি প্রথম দিনে প্রায় ₹১১.৫০ কোটি আয় করেছে। যদিও এই সংখ্যাটি প্রশংসনীয়, তবে এটি আমির খানের আগের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি “লাল সিং চাড্ডা” এর তুলনায় কিছুটা কম, যা প্রথম দিনে ₹১১.৭০ কোটি আয় করেছিল। প্রথম দিনের কালেকশন ₹১১.৫০ কোটি (প্রাথমিক অনুমান) অকুপেন্সি হিন্দি ভার্সনে ১৭.৭৩%, রাতের শোতে ৩২.৫০% দর্শক দেখা গেছে। হিন্দি, তামিল এবং তেলেগু ভাষায় ₹১১.৭ কোটি
“সীতারে জমিন পর” ছবিটি একজন বাস্কেটবল কোচের গল্প বলে, যিনি তার স্নায়বিক বৈচিত্র্যময় ছাত্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শেখেন, অন্তর্ভুক্তি এবং গ্রহণযোগ্যতা প্রচার করেন। এই ফিল্মটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করে। এই বিষয় টি এমনই একটি বিষয় যা অনেক অ্যাকশন প্রেমী দর্শকের পছন্দ নাও হতে, যেটি খুবই দুঃখজনক একটি ব্যাপার। সেই সব দর্শক যদি শুধু এই কারণে এই ফিল্মটি না দেখে, যে এটিতে অ্যাকশন নেই, তাহলে এটি তাদের ক্ষতি। যখন সব সুপারস্টাররা অ্যাকশন ফিল্ম করতে ব্যস্ত তখন আমির খান ই পারেন এরকম একটি ফিল্ম দর্শকের সামনে আনার।
সমালোচকরা এই ফিল্মটি নিয়ে পজিটিভ ওয়ার্ড অফ মাউথ ছড়িয়ে দিয়েছেন। খুবই কম সংখ্যক ক্রিটিক্স রাই নেগেটিভ রিভিউ দিয়েছেন। সবাই বেশ ভালো রিভিউ দিয়েছে। এনডিটিভি-র শৈবাল চ্যাটার্জী লিখেছেন যে “আমির খান খুবই সহজেই চরিত্রের ভেতর ঢুকে জান, যাকে নিজের কম উচ্চতা নিয়ে প্রচুর কথা শুনতে হয়”। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর শুভ্রা গুপ্ত লিখেছেন “এই ফিল্ম খুব একটা কাজ করতো না যদি আমির খান নিজের চরিত্রে এতটা মগ্ন না হতেন যেটি একটি নায়কের চরিত্র কিন্তু একটি মূর্খ “। কিছু নাম করা ক্রিটিক যেমন রাহুল দেশাই-এর তেমন ভালো লাগেনি ফিল্ম টা। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার ধভাল রয় ফিল্মটি নিয়ে ভালো কথা বলেছেন।
বাংলা ইউটিউব কমিউনিটিও বেশ ভালো কথা বলেছে নিজেদের রিভিউস গুলি তে। সব মিলিয়ে সিনেমাটি নিয়ে কোথাও কোনো নেগেটিভিটি হয়নি। প্রথম দিনের কালেকশন ও বেশ ভালোই হয়েছে। খুব বেশি না হলেও পারিবারিক দর্শক দিনে দিনে বাড়বে এবং এই কালেকশন টি আরও বাড়বে, এমনটাই সবাই বিশ্বাস করছে। এর ই মধ্যে কামাল আর খানের এই ফিল্মটি নিয়ে কিছু কুৎসিত নোংরা মন্তব্য সামনে এসেছে, যেটি থেকে তার ভেতরকার মানুষিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি ফিল্মটি তে বাচ্চা গুলির মুখ নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যেটি খুবই ই কুৎসিত এবং জঘন্য। আর এই মন্তব্য গুলি থেকে সাধারণ মানুষের কোনো যায় আশা উচিত নয়।
এই ফিল্মটি লম্বা দৌড়ে অনেক বড়ো একটি ব্যবসা করতে চলেছে এবং আশা করা যাচ্ছে যে এ বছরের প্রথম ১০ টি সব থেকে বেশি আয় করা ফিল্মের তালিকায়ে এটি থাকবে, অব্যশই তা না হলেও এরকম সিনেমার আয়ু অনেক বেশি। সেটি বক্স অফিস অব্দি সীমিত থাকবে না।