বৃহস্পতিবার বিকালে এয়ারলিফ্ট করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল প্রাক্তণ বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। কিন্তু প্রায় দু’দিন হতে চলল এখনও তাঁর তেমন কোন উন্নতি হয়নি বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। শনিবার দিল্লি যাচ্ছেন প্রাক্তণ বিচারপতির ভাই।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ একদিকে অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস এর পাশাপাশি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সেপসিস, এই দুই রোগের জোড়া ফলায় বিদ্ধ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হলেও এখনও খুব একটা উন্নতি হয়নি তাঁর। যথেষ্ট সংকটজনক তিনি। শনিবার দিল্লি যাচ্ছেন তাঁর ভাই। এই মুহূর্তে দিল্লিতে আছেন প্রাক্তণ বিচারপতির পিএ এবং ভাইপো।
যেরকমটা জানা গেছে, বিজেপি সাংসদের চিকিৎসার বিষয়টি দলের পক্ষ থেকে দেখছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা এবং কিরেন রিজিজু । এছাড়াও তাঁর ট্রিটমেন্ট শিট, সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়মিত পাঠানো হবে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে। লোকসভার সচিবালয় এইমস হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। এছাড়াও তমলুকের প্রাক্তণ সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে দিল্লিতে থাকতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি শনিবার থেকে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে দিল্লি গিয়ে তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে যাবতীয় সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।
কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালেও মাল্টি অর্গান সাপোর্টে রাখা হয়েছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। দিল্লিতেও আইসিইউতে সব রকম সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে তাঁর। শনিবার সেই সব শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার কথা রয়েছে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরেই তাঁর পরবর্তী চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসকরা আলোচনা করবেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সমস্ত রকম আধুনিক চিকিৎসা দেওয়ার পরেও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনও উন্নতি হয়নি।
গত ১৪ জুন, গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তণ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হঠাৎ ভীষণ পেটে ব্যথা শুরু হয় তাঁর। বাড়িতে বেশ কয়েকবার বমিও করেছিলেন। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁকে আইসিউতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়। সে কারণে দিল্লির এইমসে চিকিৎসার ভাবনাচিন্তা করা হয়। সে কারণে তাঁকে এয়ারলিফট করে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে।
সেপসিস হল সংক্রমণ । এবার সংক্রমণ যখন পরিপাকতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত অঙ্গগুলোর থেকে হয়, যাকে বলা হয় জিআই অঙ্গ, সেই অঙ্গের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে গেলে তখন তাকে বলা হয় জিআই সেপসিস । অনেক সময় এই সংক্রমণ সারা শরীরে রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়, তখন তাকে বলা হয় সেপ্টিসেমিয়া।