মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে ঢুকেই পড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের পারমাণবিককেন্দ্রগুলিতে ব্যাপক আঘাত আমেরিকার। আর এর পরেই রণহুঙ্কার ইরানের। এই হামলার শেষ দেখে ছাড়া হবে, এমনটাই হুমকি খামেনেইয়ের। সমস্ত আমেরিকান এবার টার্গেট, হামলার পরেই হুমকি ইরানের।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ রবিবার সকাল থেকেই ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইজরায়েলে। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর চেষ্টা চলছে। আকাশ প্রতিরক্ষা অস্ত্র সক্রিয় করা হয়েছে। মুহুর্মুহু সাইরেনের শব্দ শোনা যাচ্ছে তেল আভিভে , এর পাশাপাশি জেরুজালেমে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। আইডিএফের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে ‘‘ইরান থেকে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হচ্ছে”।
ইরানের তরফে দাবি করা হয়েছে প্রতিটি মার্কিন নাগরিক এবার ইরানের টার্গেট। আমেরিকা যে লড়াই শুরু করেছে ইরান তা শেষ করবে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পাজেস্কিয়ান স্পষ্ট জানিয়েছেন “ইহুদি রাষ্ট্র ও তাঁর বন্ধুদের ক্রমাগত হামলার জবাব দেওয়া হবে আর সেই প্রত্যুত্তরও হবে ভয়ংকর।” এই হামলাকে অপরাধমূলক আচরণ তকমা দিয়ে ইরানের বিদেশমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আজ সকালে আমেরিকার আচরণ অত্যন্ত আপত্তিকর। এর সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া হবে। রাষ্ট্রসংঘের প্রতিটি সদস্যর এই ঘটনায় সতর্ক হওয়া উচিত। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক, বেআইনি এবং অপরাধমূলক আচরণ।”
ইরান জানিয়েছে, আমেরিকার হামলার জেরে তাদের ক্ষতির মাত্রা মোটেও অপূরণীয় নয়। ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ গালিবাফের সিনিয়র উপদেষ্টা মেহদি মোহাম্মদি জানিয়েছেন, ফরদো পরমাণু কেন্দ্রে হামলার আশঙ্কা কয়েক দিন ধরেই ছিল এবং আগে থেকেই কেন্দ্রটি খালি করে ফেলা হয়েছিল। এক বার্তায় মোহাম্মদি লেখেন, “এই কেন্দ্র অনেক আগেই খালি করে দেওয়া হয়েছিল এবং এর ক্ষতি পূরণযোগ্য। তোমরা জ্ঞানকে বোমা মেরে শেষ করতে পারবে না।” জ্ঞান বলতে এখানে পরমাণু গবেষণায় ইরানের অগ্রগতির কথা বোঝাতে চেয়েছেন মোহাম্মাদি।
আমেরিকার উদ্দেশে ইরান বার্তা দিয়ে হুমকি দিয়েছে, ‘এর শেষ দেখে ছাড়ব।’ এখানেই শেষ নয়। খামেনেইয়ের হুঁশিয়ারি, ‘পশ্চিম এশিয়ায় থাকা প্রতিটি আমেরিকান নাগরিক ও সেনা এ বার থাকবে আমাদের নিশানায়। ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অপরাধ। পশ্চিম এশিয়ায় এর কোনও স্থান নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই খেলাটা শুরু করেছে এবং আমরা এটি শেষ করব।প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে, আমাদের বাহরাইনে মার্কিন নৌবহরের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে হবে এবং একইসঙ্গে আমেরিকান, ব্রিটিশ, জার্মান এবং ফরাসি জাহাজের জন্য হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে হবে।’