কালীগঞ্জ উপনির্বাচনঃ গণনার শুরুতেই এগিয়ে তৃণমূল

শুরু হয়েছে কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের গণনা। তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ, বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষ এবং বাম সমর্থিত কংগ্রেসের কাবিলউদ্দিন শেখ। পোস্টাল ব্যালটের গণনার শুরুতেই অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। তার তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে বিজেপির আশিস ঘোষ। আসন ধরে রাখার লক্ষ্যে যে লড়াই লড়তে নেমেছেন তৃণমূল প্রার্থী, শুরুতেই বেশ খানিকটা স্বস্তি মিলেছে তাঁর।

সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ পোস্টাল ব্যালট পার করে, শেষ হয়েছে প্রথম রাউন্ডের গণনা। সেখানেও এগিয়ে তৃণমূল, প্রাপ্ত ভোট ৪৫৪৫, দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেসের কাবিলউদ্দিন শেখ, প্রাপ্ত ভোট ১৮৩০, তৃতীয় স্থানে বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষ, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১১১২।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২৩ রাউন্ড গণনা শেষে জানা যাবে ফলাফল। গত ১৯ জুন মোটের ওপর শান্তিপূর্ণভাবেই উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এই বিধানসভায়। ভোটদানের সার্বিক হার ছিল প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকছি। কালীগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ ওরফে লালের অকালপ্রয়াণের ফলেই এই উপনির্বাচন। আসন ধরে রাখার লক্ষ্যেই প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিনের মেয়ে আলিফা আহমেদকে প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। যদিও এই উপনির্বাচন নিয়ে খুব একটা শঙ্কার কিছু ছিল না দলের অন্দরে, এবং গণনা শুরু হতেই পূর্ব প্রত্যাশামতই এগোচ্ছে তৃণমূল। বাম এবং বিজেপি প্রার্থীকে পিছনে ফেলে প্রথমবারের জন্য বিধানসভার দৌড়ে প্রয়াত বিধায়ককন্যা আলিফা আহমেদ।

প্রচারেও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলেন আলিফা। কার্যত নিজেই নিজেকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন যেন। বলেছিলেন সাধারণ মানুষের আস্থা ভালোবাসায় তাঁর বাবার চেয়েও বেশি ভোট পাবেন তিনি। ২০২১ সালে এই কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪৭ হাজারেরও বেশি ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করেছিলেন তৃণমূলের নাসিরউদ্দিন আহমেদ। তাই এই মুহূর্তে সেই মার্জিনকে পার করাই আলিফার লক্ষ্য। অন্যদিকে নির্বাচনের দিন ভোট দিয়ে মধ্যমা প্রদর্শন নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় রাউন্ড গণনার শেষেও এগিয়ে তৃণমূল। আলিফা মোট ৭০০০ ভোট পেয়েছেন পোস্টাল ব্যালটে। কংগ্রেস পেয়েছে ১৭০০ ভোট এবং বিজেপি ১২০০ ভোট।

পানিঘাটা হাইস্কুলের গণনাকেন্দ্রে সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়েছে গণনা। গণনাকেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল বা ক্যামেরা নিয়ে যাওয়া যাবে না। সঙ্গে রাখা যাবে শুধুমাত্র সাদা কাগজ এবং পেন। এর পাশাপাশি সাংবাদিকদের জন্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তত্ত্বাবধানে নির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে ছবি তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বেলা ১টার মধ্যে গণনা সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং তারপরেই স্পষ্ট হয়ে যাবে উপনির্বাচনেও কালীগঞ্জে ঘাসফুল ফুটল কি না