মৌসুমী সাহা – সাংবাদিক, উজ্জ্বল সুন্দর ত্বক পেতে আমরা পার্লারে যাই। সেখানে নানান অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে ত্বক হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত, কিন্তু সবাই কি এগুলি ব্যবহার করতে পারেন ?আপনার অজান্তে এই যন্ত্রের ব্যবহার সমস্যা ডেকে আনছে না তো?
সৌন্দর্য চর্চায় হাই ফ্রিকোয়েন্সি ওয়ান্ড হল এমন একটা ডিভাইস যা তারুণ্য বজায় রাখে। বাড়ায় ত্বকের উজ্জ্বলতা এমনকি বয়সকে আটকে রাখে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যায় ।এগুলি এমনিতে হয় ত্বক বান্ধব । ত্বকের যত্ন নেয় নেয়া থেকে শুরু করে ব্রণ ,বলিরেখা, ঝুলে পরা ত্বক সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে ।এই মেশিনে বৈদ্যুতিক প্রবাহ উৎপন্ন হয় যা আর্গান বা নিয়ন গ্যাস ভরা একটি কাঁচের ইলেকট্রোডের মধ্যে দিয়ে যায়। ত্বকে ব্যবহারে একটি হালকা বৈদ্যুতিন চার্জ উৎপন্ন করে যা একটি নরম আভা এবং এটি মৃদু শব্দও তৈরি করে কখনও কখনও।
এইভাবে ত্বকে এই ডিভাইসের ব্যবহার ত্বককে অক্সিজেন সমৃদ্ধ অনুসরবরাহ করে। কোন ব্যাকটেরিয়া থাকলে তা ধ্বংস করে, রক্ত প্রবাহ কে উদ্দীপিত করে এবং যার ফলে কোষ পুনুরজীবিত হয় এক কথায় ত্বকের অবস্থার উন্নতি হয় এর ব্যবহারে। আরো তরুণ দেখায় ত্বককে। মেশিনের সাহায্যে পেনিট্রেশন ত্বকের উপকারী পদার্থকে ত্বকে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় চোখের নিচের কালি ,ফোলা ভাব ,বলিরেখা কমাতেও সাহায্যকারী এই মেশিনের ব্যবহার।
তবে ভালোর পাশাপাশি এই মেশিন ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত যেমন মেশিনের অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে পারে ।যাদের খুব সেনসিটিভ স্কিন তাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ।গর্ভবতী মহিলা এবং যারা পেসমেকারসহ কোনরকম বৈদ্যুতিন ইমপ্লান্ট শরীরে রয়েছে তাদের এই উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিযুক্ত গ্যাজেট এড়িয়ে চলাই শ্রেয় ।যারা চর্ম রোগে ভোগেন কিংবা যারা মৃগী রোগে আক্রান্ত , খিঁচুনির সমস্যা রয়েছে তাদের এগুলি এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে চিকিৎসক এর পরামর্শ অবশ্যই বাঞ্ছনীয়।