রাত পোহালেই সৈকত শহরের নতুন উৎসব রথ। দিঘার জগন্নাথ ধাম নিয়ে ইতিমধ্যেই আগ্রহ তুঙ্গে। তার সঙ্গে জুড়ছে রথযাত্রা উৎসব, যা এই মুহূর্তে দিঘায় আক্ষরিক অর্থেই উৎসবের চেহারা নিয়েছে। রথযাত্রার ঠিক আগের দিন রথযাত্রা নিয়ে বৈঠক করার পর মন্দির পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাইছি।”
সঞ্জু সুর ও সেলিম আহমেদ, দিঘা- এপ্রিলের ৩০ তারিখ দিঘার জগন্নাথ ধাম উদ্ধোধন হওয়ার পর থেকে রাজ্যবাসীর কাছে এক অমোঘ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মন্দির। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ লক্ষের বেশি মানুষ এসেছেন এই মন্দির দর্শন করতে। শুক্রবার জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। ফলে এই মুহূর্তে দিঘা চূড়ান্ত প্রহরের অপেক্ষায়।
বৃহস্পতিবার মন্দির প্রাঙ্গণ ও মাসির বাড়ি পরিদর্শন করার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামি কাল(শুক্রবার) সকাল ন’টা থেকেই পুরোহিতরা তাদের নিত্য পূজো পাঠ করবেন। সাধারণ পূণ্যার্থীরা দর্শন করতে পারবেন। সাড়ে ন’টার পর থেকে রথ দর্শনও করা যাবে।” এদিন মন্ত্রী গোষ্ঠী, প্রশাসনিক আধিকারিক ও মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করার পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, “কাল দুপুর দু’টো নাগাদ তিনি মন্দির প্রাঙ্গণে আসবেন। ঠিক আড়াইটে থেকে রথযাত্রা শুরু হবে।” মুখ্যমন্ত্রীই সোনার ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁট দেওয়ার মাধ্যমে রথযাত্রা শুরু হবে। রথযাত্রা কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই যে পরিমান পূণ্যার্থী ও সাধারন মানুষ দিঘায় এসেছেন তাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, পুলিশ প্রশাসন কে তেমন নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন, “আমি সাধারণ মানুষের কাছে সহযোগিতা ও শুভকামনা চাইছি। আমরা এই রথের আয়োজন প্রথমবার করছি। রথ এবং উল্টো রথ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় তাই আপনাদের সহযোগিতা চাইছি।”
ইতিমধ্যেই রথের প্রস্তুতি সমাপ্ত। পুরীর রথের মতোই এখানেও জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্য তিনটি আলাদা রথ থাকছে। প্রথমেই থাকবে জগন্নাথ দেবের রথ, যার নাম ‘নন্দীঘোষ’, তাঁর উচ্চতা ৩০ ফুট এবং চওড়া ২২ ফুট। ১৬ চাকার এই রথের তিনদিকে থাকবেন ৯ জন পার্শ্ব দেবতা। দু’জন দ্বারপাল। রথজুড়ে থাকছে রঘুরাজপুরের পটচিত্র। সামনে থাকবে সাদা রঙের ঘোড়া। ঠিক পিছনেই দুই দিকে থাকবে বলভদ্র ও শুভদ্রার রথ। শুভদ্রার রথের নাম ,দর্পদলন’। এই রথের উচ্চতা সাড়ে ২৮ ফুট। ১২ চাকার রথের সামনে থাকছে কমলা রঙের ঘোড়া। আর বলভদ্রের রথের নাম ‘তালধ্বজ’। তালধ্বজের উচ্চতা ২৯ ফুট এবং মোট ১৪ টি চাকা এবং সামনে থাকছে কালো রঙের ঘোড়া।