বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত বর্তমানে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের উপর অবস্থান করছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এই ঘূর্ণাবর্ত একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের উপর।
ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক- আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে।
বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে উপকূলবর্তী এবং পশ্চিমাঞ্চলের ছ’টি জেলার জন্য— পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমান। এই জেলাগুলিতে আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার)।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার রথযাত্রার দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির প্রকোপ আরও বাড়বে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং দুই বর্ধমান— এই ছ’টি জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া, বৃহস্পতিবার ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সমুদ্র থাকবে উত্তাল। ফলে মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আজকের তাপমাত্রা:
কলকাতার সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকার সম্ভাবনা।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস
উত্তরবঙ্গেও সপ্তাহভর চলবে কমবেশি বৃষ্টিপাত। আজ, বৃহঃস্পতিবার কোনও নির্দিষ্ট সতর্কতা না থাকলেও, ন’টি জেলাতেই বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে (৭ থেকে ১১ সেমি)। এর মধ্যে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের কিছু এলাকায় হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ২০ সেমি)।
শনিবার ও রবিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী পাঁচ দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই।
বিশেষ সতর্কতা:
আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে সাধারণ মানুষকে ও মৎস্যজীবীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।