ব্যাকটেরিয়া স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর কিন্তু বেশ কিছু ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকারক নয়। যা ভালো ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়েটিক যা আপনার শরীরে থাকলে, তা শরীরের জন্য বেশ ভালো। প্রোবায়োটিক হল জীবন্ত উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা প্রাকৃতিক ভাবে মানব দেহে বসবাস করে।
মৌসুমী সাহা, সাংবাদিক- প্রোবায়োটিক ভালো ব্যাকটেরিয়া যা হজমের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদরা বলছেন প্রোবায়োটিক আমাদের প্রতিদিন জীবন ধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরে যেমন খারাপ ব্যাকটেরিয়া রয়েছে তেমনি সুস্থ থাকার জন্য দরকার ভালো ব্যাকটেরিয়া, যা প্রোবায়োটিক নামে পরিচিত। আমাদের অন্ত্রের সুস্থতার জন্য দরকার এই প্রোবায়োটিক। আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যসহ সামগ্রিক সুস্থতার জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু কোথায় পাবেন এই প্রোবায়োটিক, দৈনন্দিন খাদ্য খাবারে প্রোবায়োটিক কথা বললেই সবাই দইয়ের কথা ভাবেন ,কিন্তু এমন আরো অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো প্রোবায়োটিকের অভাব পূরণ করতে পারে। যেমন পানির, সেই তালিকায় রয়েছে পানির কেবলমাত্র প্রোটিন সমৃদ্ধই নয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রোবায়োটিক বটে। ইডলি এবং দোসা দক্ষিণ ভারতীয় এই খাবারগুলো মূলত গ্যাজানো চাল এবং ডাল দিয়েই তৈরি হয় তাই অত্যন্ত ভালো প্রোবায়োটিক। আচার খেতে ভালোবাসেন অনেকেই ভাতের সঙ্গে আচার,ডালের সঙ্গে আচার, পরোটার সঙ্গে আচার খেলে ভালো। প্রাকৃতিকভাবে গ্যাজানো এই আচার অন্ত্র-বান্ধব ব্যাকটেরিয়ায় পূর্ণ। ধোকলা খাবারটি তৈরি করা হয় গ্যাজানো ছোলার ডালের গুঁড়ো দিয়ে আর তাই এটি খুব ভালো একটি প্রোবায়োটিক। বাংলা বা বাঙালির কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় পান্তা ভাত যা একটি খুব ভালো প্রোবায়োটটিক। সবুজ মটরশুটি প্রোবায়োটিকের দুর্দান্ত উৎস। প্রোবায়োটিক কেবল হজমের সাহায্য করে এমনটা নয় ভালো ত্বকের জন্য, প্রদাহ কম করতে এমনকি মানসিক সুস্থতার জন্য, এমনকি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতেও সাহায্য করে। সুতরাং প্রতিদিনের খাবারে প্রোবায়োটিক যুক্ত করা খুবই প্রয়োজন এই প্রত্যেকটি উপাদানে খুব দুর্লভ বা খুব ব্যয়বহুল এমনটা নয় খুবই সহজে এগুলো পাওয়া যায়। এবং সকলেই গ্রহণ করতে পারেন।