গোটা কলকাতা এখন মনোজিত মিশ্র এই নামটা জেনে গিয়েছেন। কসবা গণ ধর্ষণ কান্ডের অন্যতম অভিযুক্ত এই মনোজিত। সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ থেকে পাস করে বেরিয়ে যাওয়ার পরেও যার দাদাগিরি অটুট ছিল। কিন্তু কার দাক্ষিণ্যে এত দাপট এই মনোজিতের? উত্তর খুঁজছেন সকলেই।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ এটাই প্রথম বার নয় এর আগেও একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে মনোজিতের নামে, অর্থাৎ পুলিশের খাতায় বেশ জনপ্রিয় নাম এই মনোজিত। কিন্তু এত এত অভিযোগ তবুও সে কোন বলে বলীয়ান হয়ে বারবার অধরা থেকে গিয়েছে? কেন তাকে ছুঁতে অবধি পারেনি পুলিশ? উঠছে প্রশ্ন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ অবধি তিনটি উল্লেখ্য এফআইআর এই মনোজিতের নামে দায়ের হয়েছিল কিন্তু কোনক্ষেত্রেই তাকে ধরতে পারেনি পুলিশ। প্রথম ঘটনা, ২০১৩ সালে কালীঘাট এলাকায় এক ব্যক্তিকে ছুরির কোপ মারার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে, দায়ের হয় এফআইআর কিন্তু ২০১৬ সাল অবধি অধরা থাকে সে, পুলিশও পরে এই নিয়ে আর কোন তদন্ত করেনি, ধামাচাপা পড়ে যায় বিষয়টা। এরপর ২০১৭ সালে দ্বিতীয় বার কলেজে ভর্তি হয় মনোজিত এবং আরও একবার নিজের স্বরুপ দেখিয়ে কলেজে ভাঙচুর চালায়, এই ঘটনায় গড়িয়াহাট থানায় এফআইআর হয়, তখনও গ্রেফতার করা হয়নি মনোজিতকে। এরপর, ২০২২ সালে এক জনকে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ ওঠে মনোজিতের বিরুদ্ধে কসবা থানাতেই এফআইআর হয় কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে সে ছাড়া পেয়ে যায় এবারেও। এর পাশাপাশি একাধিক অভিযোগ আছে হুমকি র্যারগিং তোলাবাজির অভিযোগে মনোজিতের বিরুদ্ধে।
প্রশ্ন উঠছে মনোজিতের এহেন বাড়বাড়ন্তের পিছনে কার বা কাদের হাত রয়েছে? কেন এত এত অভিযোগের পরেও তাকে গ্রেফতার করা গেল না? কেন কলেজ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেও কলেজে দাপট দেখাত সে? কলেজ কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত তার অঙ্গুলিহেলনে চলত? শোনা যাচ্ছে যে, মনোজিতই নাকি ঠিক করত কে কোন ক্লাস নেবেন? কে কখন আসবেন? মনোজিতের নেতা হয়ে ওঠার আড়ালের আসল মাস্টারমাইন্ড কে? উত্তর খুঁজছে পুলিশও। ইতিমধ্যেই ১লা জুলাই অবধি তিন অভিযুক্তের পুলিশি হেফাজত দেওয়া হয়েছে, তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।