এই মুহূর্তে মহাকাশ স্টেশনে রয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষনা সংস্থা ইসরোর মহাকাশচারী এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। কেমন আছেন সেখানে, শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কি কি পরিবর্তন হচ্ছে, সেসব কিছুই জানিয়েছেন তিনি।
মৌসুমী সাহা, সাংবাদিক- অক্সিয়ম ৪ মিশনে মহাকাশে পৌছে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠিয়ে ছিলেন শুভাংশু শুক্ল। মহাকাশে পৌঁছনোর অভিব্যক্তি প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছিলেন সকলের ভালেবাসা ও আশীর্বাদে মহাকাশে ভালোভাবে পৌছতে পেরেছেন। তবে এখানে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কঠিন। একটু মাথাব্যাথা, অস্বস্তি, মাথা ভারী থাকা এগুলো একদম কমন সমস্যা যা তাকে ভোগাচ্ছে, তবে এরই সাথে তিনি আশাবাদী যে কয়েক দিন গেলেই অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। আপাতত মহাকাশে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবেন তাঁরা। ১৪ দিন মহাকাশে থাকলেও প্রতিমুহুর্তে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবেন তাঁরা।
মাইক্রোগ্রাভিটিতে প্রবেশের সময় মানবদেহের সাধারণ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অভাবের কারণে মানবদেহের এই পরিবর্তন। মহাকাশচারীরা প্রথম অনুভব করেন তরল পদার্থ মাথার দিকে সরে যাবার বিযয়টি, সাথে সাথে তরল পদার্থের স্থানান্তর, যা মাথা ভারী বোধ করায়, চোখ মুখ ফুলে যায়, নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং মাথায় চাপ দেয়। আরো বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে যেমন পেশী ও হাড় পৃথিবীর মতো ব্যবহার করা যায় না, তার ফলে তা দুর্বল হয়ে পরে। এমনকি হার্টও কম কাজ করে যার ফলে রক্তচাপও কমে যেতে পারে। এগুলিকে স্পেস আ্যাডাপটেশন সিনড্রোম বলে। প্রথম কদিন এই লক্ষন গুলো প্রকাশ পায়। তবে সকলের যে একই রকম লক্ষন দেখা যাবে এমনটা নয়। এর প্রকোপ থেকে বাচঁতে মহাকাশচারীরা নিয়মিত ব্যায়াম, পুষ্টিপর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখেন। শুধু তাই নয় শরীরকে ফিট রাখার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলেন। তবে দেশবাসীর আশা ভরসায় কাজ শেষে তারা যে ভালোভাবেই ফিরে আসবেন পৃথিবীতে এমনটা আশা করা যায়।