কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের একের পর এক কুকীর্তির কথা রোজই সামনে আসছে। সেই সঙ্গে মনোজিতের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগাযোগের তথ্যও সামনে আসছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারের কিছুটা আগেই নাকি বালিগঞ্জের এক প্রভাবশালীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিলো মনোজিৎ ও তার সাগরেদকে।
সুচারু মিত্র, সাংবাদিক- কসবা গণধর্ষন কান্ডের তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে আসছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এবং তার সাগরেদ গ্রেফতারের দিন, ঠিক তার ১ ঘন্টা আগে বালিগঞ্জের ফার্ন রোডে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। মনোজিৎ মিশ্র এবং তার সাগরেদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে গ্রেফতারের দিন সন্ধ্যে ৬ টা ২৫ নাগাদ ফার্ন রোডে তাদের দুজনের টাওয়ার লোকেশন পাওয়া গিয়েছে। সেখানে প্রায় আধ ঘন্টা কাটিয়ে ৭ টা ২০ নাগাদ বোস পুকুর তাল বাগানের সামনে আসেন মনোজিৎ মিশ্র, আর সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে।
অন্য দিকে এই ঘটনায় নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে তথ্য প্রমাণ। ঘটনার দিন তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। তখন তিনি বলেন কাউকে ইনহেলার এনে দেওয়ার জন্য। মনোজিৎ মিশ্রের সাগরেদ জয়িব ইনহেলার এনে দেন কসবার ই একটি ঔষুধের দোকান থেকে। সেই দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ এবং পেমেন্ট ডিটেইলস খতিয়ে দেখা গেছে মনোজিৎ মিশ্রের সাগরেদ ঐ দোকান থেকে ইনহেলার এনে দেয় ঐ নির্যাতিতার জন্য। ইনহেলার নিয়ে একটু সুস্থ হবার পরেই ফের ধর্ষণ করা হয় ঐ নির্যাতিতাকে এমনটাই বয়ানে জানানো হয়েছিল। আর সেই মতো মিলেও যাচ্ছে তথ্য প্রমাণ।
কসবা কান্ডের তদন্তে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আরও ৬ টি ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে।যে গুলি অপহরণের ধারা বলে পরিচিত। দীর্ঘক্ষণ গার্ড রুমের মধ্যে আটকে রাখা, ফোন ছিনিয়ে নেওয়া এই সমস্ত কারণেই পুলিশ এই ধারা সংযুক্ত করেছে।বিএনস ১৭০ এবং বিএনস ১৪০ সংযুক্ত করা হয়েছে। অপহরণের ধারা গুলোর মধ্যে বেশ কিছু ধারা জামিন অযোগ্য ধারা।ফলে সব মিলিয়ে কসবা কান্ডের তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয় এবং কি শাস্তি অপেক্ষা করছে মনোজিৎ মিশ্র সহ বাকি সাগরেদদের জন্য, তার দিকেই তাকিয়ে সকলে।