জল্পনা ছিল অনেক আগে থেকে, সুকান্ত মজুমদার পরবর্তীতে কে হবেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি দলের রাজ্য সভাপতি। এই জল্পনায় গত কয়েকদিন যে নাম সবার আগে ছিলো, সেই সমীক ভট্টাচার্যের কাঁধেই উঠলো রাজ্য সভাপতির গুরু দ্বায়িত্ব। সমীকের নেতৃত্বেই ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটে যেতে চলছে বিজেপি।
সুচারু মিত্র, সাংবাদিক- দৌড়ে ছিল একাধিক নাম ‘ অগ্নিমিত্রা পাল, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, এমনকি একটা সময় শোনা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষের নামও। সময় যত গড়াচ্ছিল, সমীকরণ বদলাচ্ছিল ততই। শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করল। রাজ্য বিজেপিকে ঐক্য মতে খুঁজে নিতে হবে তাদের পরবর্তী রাজ্য সভাপতিকে। এই নির্দেশ পাওয়ার পরই শুরু হয় আলোচনা, আর সেই আলোচনা গিয়ে ঠেকলো শমীক ভট্টাচার্যে। গত ২৪ ঘন্টায় তার নাম ছিল সর্বোচ্চ চর্চায় আর হলোও তাই। বুধবার বিজেপির সল্টলেক অফিসে একটি মাত্রই মনোনয়ন পত্র জমা পড়ল, সেটা শুধুমাত্র শমীক ভট্টাচার্যের। দল সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিল শুধুমাত্র একজনই মনোনয়ন পত্র দেবেন, সেটা শমীক ভট্টাচার্য, আর তিনিই হবেন রাজ্য সভাপতি।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন শমীক ভট্টাচার্য। বিজেপির সল্টলেক দফতরে এসে প্রথমেই তাঁর মন্তব্য হল ‘বিজেপির রাজ্য সভাপতি হল বহমান পথ’ আসলে লড়াইতে থাকতে হবে যিনিই রাজ্য সভাপতি হোন না কেন। এরপর ছিল কিছু সময়ের অপেক্ষা, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হতেই শমীক ভট্টাচার্যের নামেই সিলমোহর। সুকান্ত পরবর্তী পর্যায়ে শমীক ভট্টাচার্যই রাজ্য বিজেপির গুরু দায়িত্ব সামলাবেন। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনেরও মূল কান্ডারী তিনি। রাজ্য বিজেপির ব্যাটন এখন পুরনো শমীকের হাতেই। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ঘনিষ্ঠ বসিরহাটের প্রাক্তণ বিধায়ক, বর্তমানে বিজেপির রাজ্য সভার সাংসদ, সেই শমীকের ওপরই ভরসা রাখলো রাজ্য নেতৃত্বের একটা বড় অংশ।
এদিন মনোনয়নে উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী। দুজনেই শমীকের ব্যাপারে ভীষণ ইতিবাচক ছিলেন। শোনা যাচ্ছে দায়িত্ব নিয়েই জেলা সফর শুরু করে দেবেন শমীক ভট্টাচার্য। একমুহুর্ত ও বসে থাকবেন না তিনি। জমিটা তাঁর পুরনো, আর তাছাড়া লড়াই করতেও ভালোবাসেন শমীক ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে তাঁর সংবর্ধনা পর্ব, আর সেখানেই সভাপতি হিসাবে প্রথম ভাষণ দেবেন শমীক ভট্টাচার্য। কী বার্তা দেন তিনি, তার দিকে তাকিয়ে সকলেই।