অরুণাচলম মুরুগানানথাম, যাকে সকলে চেনে প্যাডম্যান হিসাবেই। তিনিই প্রথম স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে কার্যত এক বিপ্লব শুরু করেন। তবে এবার কি সেই জায়গা নিতে চলেছেন রাহুল গান্ধী? কারণ পাখির চোখ এই মুহূর্তে বিহার। আর সেই ভোটমুখী বিহারে মহিলাদের বিহারে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিলি করছে কংগ্রেস।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ ভোটের বিহার, বিহারের ভোট। তাই প্রতিটি রাজনৈতিক দল কার্যত মাস্টার স্ট্রোক দিচ্ছে। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন ত্রিনিদাদ-টোব্যাগ গিয়ে সেখানকার প্রধানমন্ত্রীকে বিহার কি বেটি বলে সম্বোধন করছেন তখন বিহারের মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন বিলির সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের।
এই খবর চাউর হতেই প্রশ্ন রাহুল গান্ধী কি এবার প্যাডম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন? কারণ যে ন্যাপকিনের প্যাকেট বিলি করা হচ্ছে তাতে জ্বলজ্বল করছে রাহুলের ছবি। শুক্রবার কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি রাজেশ কুমার বিহারের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিহারে আমরা মহিলাদের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছি। মহিলাদের স্যানিটারি প্যাড দেওয়া হবে।’ ভোটের আগেই চালু হয়েছে ‘প্রিয়দর্শিনী উড়ান যোজনা’। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের পাঁচ লক্ষেরও বেশি মহিলাকে স্যানিটারি প্যাড বিতরণ করা হচ্ছে। যা নিয়েই বিতর্ক, কারণ বিলি করা প্যাডের বাক্সগুলিতেই জ্বলজ্বল করছে রাহুল গান্ধীর ছবি।প্যাকেটের গায়ে লেখা ‘মা-বোনেদের সম্মান যোজনা’! শুধু তা-ই নয়, অভাবী মহিলাদের সাহায্যের জন্য মাসে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় কংগ্রেস।
প্রকল্পটি মূলত মাসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশিই এটি কংগ্রেসের একটি বৃহত্তর নারী-কেন্দ্রিক নির্বাচনী প্রচারেরও অঙ্গ। তাই প্যাডের বাক্সে কেবল রাহুল গান্ধীর ছবি নয়, কংগ্রেসের একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছাপা রয়েছে। লেখা আছে, অবহেলিত পরিবারের মহিলাদের জন্য প্রতি মাসে ২৫০০ টাকার আর্থিক সাহায্যের কথা।
অন্যদিকে এই নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র প্রদীপ ভান্ডারি দাবি করেছেন, স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্যাকেটে রাহুল গান্ধীর ছবি দিয়ে আসলে মহিলাদেরই অপমান করছে কংগ্রেস। তারা নারীবিরোধী দল। বিহারের মহিলারাই কংগ্রেস এবং আরজেডিকে শিক্ষা দেবেন।