ভোটের বিহারে ঝড়ল রক্ত। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হচ্ছে বিহারের পরিস্থিতি। এবার বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করা হল বিজেপি নেতাকে।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ ২০১৮ সালে খুন হয়েছিলেন ছেলে, ঠিক তার সাত বছরের মাথায় নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করা হল তাঁর বাবা গোপাল খেমকাকে। একদিকে তিনি বিজেপি নেতা এর পাশাপাশি ব্যবসায়ী হিসাবেও যথেষ্ট পরিচিতি আছে তাঁর। শুক্রবার রাতে তাঁর পাটনার বাড়ির সামনেই গুলি করা হয় তাঁকে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও আততায়ীকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
গোপাল পাটনার গান্ধী ময়দান থানা এলাকায় পানাশ হোটেলের কাছে ‘টুইন টাওয়ার’ সোসাইটিতে থাকতেন। শুক্রবার রাতে অন্যান্য দিনের মতোই কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি যখন বাড়ির খুব কাছে, সেই সময়েই তাঁকে গুলি করা হয়। যদিও কত রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। গুলি করেই আততায়ী পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই লুটিয়ে পড়েন গোপাল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই গোপালের মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
ওই এলাকায় বিজেপি নেতা হিসাবেও তাঁর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা ছিল। কে বা কারা এই খুন করল, খুনের উদ্দেশ্য কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর পাশাপাশি আততায়ী কত জন ছিলেন, তা-ও জানা যায়নি। দলীয় নেতা খুনের ঘটনায় তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরমহহলে।
ঘটনার খবর পেয়েই, গোপালের বাড়িতে হাজির হয়েছেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। বিজেপি নেতা রামকৃপাল যাদব শনিবার সকালে গোপালের বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি, বাইরে বেরিয়ে জানিয়েছেন, খুনের খবর পাওয়ার পরেও পুলিশ ঘটনাস্থলে দেরি করে আসে। এমনটাই পরিবারের অভিযোগ। রামকৃপাল বলেন, ‘‘গোপাল এক জন দক্ষ ব্যবসায়ী এবং সমাজকর্মী ছিলেন। ওঁর বাড়ি গান্ধী ময়দান থানা থেকে খুব দূরে নয় কিন্তু তবুও খবর দেওয়ার দেড় ঘণ্টা পরে পুলিশ এসেছে বলে অভিযোগ। এটা উদ্বেগের। এই খুনের ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে এবং দ্রুত অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে। বিরোধীরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেই আছে। এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।’’