কসবা ল কলেজের ঘটনার জের। এবার
কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষাকর্মী নিয়োগে উদ্যোগী রাজ্যের শিক্ষা দফতর। সরকার পোষিত কলেজগুলিতে কেন্দ্রীয় ভাবে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ভাবনা। কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নেওয়া হতে পারে শিক্ষাকর্মী। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে নিয়োগবিধির খসড়া প্রস্তুত করে আইন দফতরে পাঠানো হয়েছে।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক- শিক্ষাকর্মী নিয়োগ নিয়ে ২০২২ সালে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল এবার বাস্তবায়িত করতে উদ্যোগী উচ্চশিক্ষা দফতর। শিক্ষাকর্মী নিয়োগ নিয়ে বিল পাশ ও আইন তৈরি হয়। তবে তা এখনও কার্যকর হয়নি। কলেজ সার্ভিস কমিশনের দ্বারা নিয়োগের সেই বিলের এবার একটি খসড়া প্রস্তুত করে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের আইন দফতরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। আইন দফতর সবুজ সংকেত দিলে তা পাঠানো হবে অর্থ দফতরে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেতের পর তা আবার আসবে উচ্চশিক্ষা দফতরে। গোটা প্রক্রিয়া শেষে উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে সেই নিয়মবিধি পাঠানো হবে কমিশনের কাছে এবং তারপর কমিশন থেকেই শিক্ষাকর্মী নিয়োগের নতুন বিধির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
এতদিন ধরে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ হত না। প্রসঙ্গত, কোন কলেজে কতগুলি শিক্ষাকর্মী প্রয়োজন তার একটি তালিকা অবশ্যই তৈর করত শিক্ষা দফতর। কিন্তু সেই তালিকা অনুযায়ি কলেজগুলি আলাদা আলাদা ভাবে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করত। বাম আমল থেকেই এই নিয়ম চলে আসছিল। এই নিয়ম বদল করার জন্য তিন বছর আগেই উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। এবার তা বাস্তব রূপ পেতে চলেছে। সূত্রের খবর, এই নিয়োমের ক্ষেত্রে কলেজ সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা আরও বিস্তৃত হচ্ছে । এবার থেকে স্থায়ী শিক্ষকের নিয়োগের পাশাপাশি অস্থায়ী শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীর জন্যও আবেদনপত্র গ্রহণ, পরীক্ষার আয়োজন, ইন্টারভিউ পরিচালনা ও চূড়ান্ত প্যানেল প্রস্তুতের দায়িত্ব থাকবে কলেজ সার্ভিস কমিশনের হাতে। শিক্ষকমহলে মত, এতে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে যেমন স্বচ্ছতা বজায় থাকবে তেমনই অরাজনৈতিকভাবে যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগের সুযোগ পাবেন।
রাজ্যের সরকার পোষিত কলেজগুলি যেহেতু আলাদা আলাদা ভাবে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করত সেক্ষেত্রে এনিয়োগে প্রায় সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতা ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র ওই কলেজের অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী ছিলেন। অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে
কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরণের অভিযোগ না ওঠে তারজন্য শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কড়া নিয়মবিধি চালু করতে তৎপর শিক্ষা দফতর।