ঘি একটি পুষ্টিকর খাদ্য। দেশী শুদ্ধ ঘি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ঘি স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ এবং এতে ভিটামিন ই, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন এ রয়েছে । কিন্তু ঠিক কতটা ঘি খাওয়া উপকারি, বেশি ঘি খেলেই বা কি হতে পারে ! পড়ুন
মৌসুমী সাহা,সাংবাদিক- পরিমিত পরিমানে ঘি খেলে শরীরে স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরে প্রবেশ করে যা আমাদের হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে । শুধু তাই নয়, ঘি হজম শক্তি উন্নত করে। মস্তিস্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এমনকি হাড় মজবুত করে। পরিমিত পরিমানের ঘি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ওজন কমানোর জন্য ঘি এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু প্রায়শই দেখা যাচ্ছে ঘিয়ে ভেজাল, বনস্পতি, পশুর চর্বি, কৃত্তিম রং কৃত্তিম গন্ধ যোগ করা হয় যা মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকারক।
বনস্পতিতে ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকে, যা খারাপ কোলেষ্টোরল বাড়ায়। বাড়ে হার্টের সমস্যা। কারণ এটি সহজে হজম হয় না, ওজন বৃদ্ধি করে এবং লিভারের ক্ষতি করে। সুতরাং এ ধরনের ভেজাল গ্রহনে শরীরের ক্ষতি হয়ে থাকে।
আবার অনেকে ডায়েটে দেশি ঘি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। কিভাবে বুঝবেন ঘি শুদ্ধ কিনা, কয়েক ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন। খাঁটি ঘি সমানভাবে জমে যাবে। যদি এটি স্তর তৈরী করে এবং তা দেখতে ভিন্ন স্তরের হয় তবে বুঝতে হবে তা বিভিন্ন ধরনের চর্বির মিশ্রন। শুদ্ধ ঘি গলে যায় এবং এতে থাকে না কোন কটু গন্ধ। ঝুকি এড়াতে তাই ব্যবহার করতে হবে শুদ্ধ ঘি। কারণ ভেজাল ঘি ব্যবহারে সাথে সাথে প্রভাব না ফেললেও যে কোন ধরনের ভেজাল সেবন দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে শরীরে।