স্বস্তি পেলেন চিকিৎসক শান্তনু সেন। তাঁর চিকিৎসক লাইসেন্স দুই বছরের জন্য সাসপেন্ড করার মেডিকেল কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত সোমবার খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট।
ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক- সাসপেন্ডেড তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তণ সাংসদ শান্তনু সেন এর রেজিস্ট্রেশন বাতিলে সোমবার বড়সড় স্বস্তি পেলেন শান্তনু সেন। এদিন আদালতের নির্দেশ— মামলাকারীকে উপযুক্ত শুনানির সুযোগ দিতে হবে। তাঁকে তাঁর বক্তব্য পেশ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
ঘটনার সূত্রপাত, শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে মেডিকেল কাউন্সিলের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত তদন্ত শুরু হওয়ার পর। জুন মাসে এক চার্জশিট জমা পড়ে। কিন্তু অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ ওই চার্জশিটে উল্লেখ ছিল না বলেই দাবি শান্তনু পক্ষে আইনজীবীর।
শুনানি ছাড়াই সাসপেন্ড!
গত শুক্রবার কাউন্সিলের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয় শান্তনুকে। তাঁর আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য আদালতে জানান, ওই শুনানিতেই কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট স্বতঃসিদ্ধভাবে শান্তনুর চিকিৎসা লাইসেন্স দুই বছরের জন্য সাসপেন্ড করে দেন। অথচ শান্তনুর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ, তা জানানোই হয়নি।
“এই অবস্থায় আদালতের হস্তক্ষেপ জরুরি,” বলেন বিশ্বরূপ। তাঁর আরও বক্তব্য, “শান্তনু একজন চিকিৎসক। আইএমএ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। কাউন্সিল আচমকাই এমন একতরফা পদক্ষেপ করেছে। আমাদের আদালতের কাছে রক্ষা কবজ প্রার্থনা।”
কাউন্সিলের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, শান্তনু নিজেই বলেছেন তিনি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছেন এবং ভেরিফিকেশন হয়েছে। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যায় তিনি জানেন, রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চিকিৎসা পেশা চালানো যায় না।
তবে আদালত পর্যবেক্ষণ করে জানায়, শান্তনু সেন যদি ডিপ্লোমা ফেলোশিপ করে থাকেন, তাহলে লেটারহেডে সেই তথ্য পরিষ্কার করে উল্লেখ করলেই যথেষ্ট। সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন, তিনি কেবলমাত্র ডিপ্লোমা হোল্ডার? – এমন প্রশ্নও তোলেন কিশোর দত্ত।
বিচারপতির মন্তব্য, শান্তনুকে পুরোপুরি কথা বলার সুযোগ না দিয়ে কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সেই যুক্তিতে মেডিকেল কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত খারিজ করে হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, শান্তনুকে ফের শুনানিতে ডেকে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে।ফলে, আপাতত স্বস্তিতে শান্তনু সেন।