শনির কু-নজর থেকে বা বক্র চাউনি থেকে বাঁচার উপায় আগেই জানিয়েছি। আজকের প্রতিবেদনে থাকছে শনিদেবের প্রিয় রাশি কোন্গুলি..
প্রবীর মুখার্জী, সাংবাদিক- গ্রহগুলির মধ্যে শনিদেবকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। তার কারণ, শনি হলো ন্যায়ের দেবতা। পান থেকে চুন খসলেই শনির কু-দৃষ্টিতে পড়বেন আপনি। নাঃ এখানে কু-দৃষ্টিতে পড়া মানে আপনার জীবন ছারখার হয়ে যেতে পারে। আর তাই শনিদেবকে কীভাবে তুষ্ট করা যায়, তা জানতে মরিয়া কম-বেশী প্রায় সকলেই। আগেই জানিয়েছি কীভাবে শনিদেবকে তুষ্ট করা যায়। যারা পড়েন নি প্রতিবেদন। অবশ্যই পড়ে দেখবেন। ভালোই লাগবে আশা করি। কারণ, শনিদেবকে তুষ্ট করার জন্য বিশেষ কোনও খরচ নেই। সামান্য কিছু নিয়ম পালন করলেই তিনি তুষ্ট হতে পারেন। তবে ভক্তিভরে নিয়মগুলি পালন করতে হবে। আজকের প্রতিবেদনে আমাদের আলোচিত বিষয় শনিদেবের প্রিয় রাশি কোন্গুলি।
বৃষ-কন্যা-তুলা-মকর-কুম্ভ এই রাশিগুলিকে শনিদেবের প্রিয় রাশি হিসেবে ধরা হয়। এই রাশিগুলির জাতক-জাতিকাদের ওপর শনিদেবের বিশেষ দৃষ্টি অর্থাৎ আশীর্বাদ থাকে।
বৃষ রাশি – এই রাশিতে শনি শুভাশুভ ফল দিয়ে থাকেন। জাতক-জাতিকাদের ঐশ্বর্য্য ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। তবে এই সাফল্য এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জীবনে আসে অত্যন্ত ধীর গতিতে। শেষ বয়সে বিশেষ সুখী হয়ে থাকে এই রাশির জাতক-জাতিকারা।
কন্যা রাশি-শনিদেবের প্রভাবিত এই রাশির জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত পরিশ্রমী হয়ে থাকেন। ন্যায়ের পথেই চলতে ভালোবাসে এই রাশির জাতক-জাতিকারা।
তুলা রাশি- শনি ও শুক্রের সম্মিলিত প্রভাব পড়ে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের। এদের জীবনে ভারসাম্য ও ন্যায়বিচার নিয়ে আসে।
মকর রাশি- স্বয়ং শনিদেব এই রাশির অধিপতি গ্রহ। তাই মকর রাশির জাতক-জাতিকারা পরিশ্রমী তো বটেই এমনকি নিয়মানুবর্তী ও কর্মঠ হয়ে থাকেন। শনির কৃপায় জীবনে সাফল্য লাভ করে থাকেন মকর রাশির জাতক-জাতিকারা।
কুম্ভ রাশি-এই রাশির জাতক-জাতিকারা পরিশ্রমী-কর্মঠ-স্বাধীনচেতা হয়ে থাকেন। একই সঙ্গে বাস্তববাদীও হয়ে থাকেন তাঁরা। শনির সু-প্রভাবে জীবনে উন্নতি লাভ করে থাকেন।
এছাড়াও ধনু-মিথুন-মীন রাশিকেও কিন্তু শনিদেবের প্রিয় বলে ধরে নেওয়া হয়। সবশেষে একটাই কথা বলা যেতে পারে, প্রিয় রাশি হওয়া মানেই সবপেয়েছির দেশে যেমন পৌঁছনো যায় না। তেমনই আত্মতুষ্টিতেও ভোগার কোনও মানে নেই। তার কারণ, প্রত্যেক জাতক-জাতিকাদের জন্মের সঠিক সময় অনুযায়ী তার লগ্ন-নক্ষত্র-রাশি ইত্যাদি বিচার করা হয়ে থাকে। সেই জন্ম সময়টাই খুব মানুষেরই সঠিক হয়। বাস্তবে একবার ভাবুন তো, অপারেশন টেবিলে একজন মহিলার অস্ত্রোপচার হচ্ছে। ডেলিভারি কেস। হয়তো একটু ক্রিটিক্যাল হয়ে গিয়েছে। সেই সময়ে ডাক্তার-নার্স হাতের ঘড়ি দেখবেন, না কি শিশুটিকে মাতৃজঠর থেকে বার করে নিয়ে এসে পরিষ্কার করবেন..। সুতরাং, একটা মোটামুটি সময় ধরে নিয়ে ডাক্তার জানান, যা লেখা হয়ে থাকে হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে। সেই সময় ধরে জ্যোতিষ গণনা। গ্রাম-গঞ্জের দিকে এখনও কোথাও রয়ে গিয়েছে দাই-মা। সেখানে হাসপাতাল বা প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে যাবার পাঠবালাই নেই।