বর্ষা একা আসে না আসে নানাবিধ শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে, রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই।
মৌসুমী সাহা, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- বর্ষা গ্রীষ্মের তাপ থেকে স্বস্তি এনে দেয় বটে কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুবাহিত, জলবাহিত রোগের প্রকোপও দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবে প্রতি বছর ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা যায় অনেকের। শরীরকে সেগুলো মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয় ।তীব্র গরমের পর কিন্তু বৃষ্টির শীতল পরিবর্তনের সাথেসাথেই নানা সংক্রমণ দেখা যায় ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাকের। ছোটদের এবং বয়স্কদের সমস্যার অনেকটাই সম্ভাবনা থাকে।
আমরা জানি বর্ষাকাল তার সঙ্গে বেশ কিছু কিছু রোগ নিয়ে আসে। আমাদের শরীর হঠাৎ করেই তীব্র তাপ থেকে সাথে সাথেই বৃষ্টির পরিবেশে রূপান্তরিত হয়, নতুন আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে আমাদের শরীরের সময় লাগে। এমন পরিস্থিতিতে যাদের কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে তাদের বর্ষার রোগের ঝুঁকিও অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই বর্ষাকালে আমাদের সতর্ক থাকতে হয় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর সাথেসাথেই অন্যান্য জলবাহিত রোগের সংক্রমনের সম্ভাবনা থাকে। রোগগুলো মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়ে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে এই সংক্রমণ।
কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এই সময় জেনে নেয়া ভালো। প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া উচিত তবে সেটি ফুটিয়ে খাওয়া বাঞ্ছনীয়।তাতে জলবাহিত রোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে। দ্বিতীয়ত ছাতা, রেইনকোট ব্যবহার করা উচিত বৃষ্টিতে না ভেজাই ভালো। বর্ষাকালে কাঁচা খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। খাবার আগে শাকসবজি, ফল পরিষ্কার জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হয়। তৃতীয়ত বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাড়ি ফিরে আসার পর স্নান করতে কিন্তু ভুলবেন না, কারণ স্নান আমাদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। ভিজে জামা কাপড়ে পড়ে এসি রুম এ প্রবেশ না করাই ভালো। চুল জামা ভিজে গেলে শুকিয়ে নিন। রাস্তার খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো, ঘরে তৈরি রান্না করা খাবার খান। ধূমপান করবেন না, অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন। কারণ নেশা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। সমান গরম জল খাওয়া বা ভেষজ চা পান করা উচিত। বয়স্কদের এই সময় তো বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সে কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া উচিত। বয়স্কদের স্যানিটাইজেশন এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত খাবার আগে, টয়লেটে যাওয়ার পরে হাত ভালো করে ধুয়ে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অসমান রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় বয়স্ক ব্যক্তিদের একটু সতর্ক থাকা উচিত কারণ পড়ে গেলে ফ্রাকচারের সম্ভাবনা থাকে বা গুরুতর আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকে।