ভয়াবহ বন্যা টেক্সাসে। শুক্রবার থেকেই আচমকা প্রবল বর্ষণ। তার জেরে এই অবস্থা, এখনও অবধি প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ তীব্র দাবদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি শুরু হলেও, টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত টেক্সাসের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। গুয়াদালুপে নদীতে হড়পা বান আসে আচমকা। ৪৫ মিনিটের মধ্যে আচমকা নদীর জলস্তর উঠে যায় প্রায় আট মিটার পর্যন্ত। মুহুর্মুহু আসছে হড়পা বান।
উদ্ধারকারী দলের আশঙ্কা আগামীতে আরও জটিল হবে টেক্সাসের বন্যা পরিস্থিতি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই টেক্সাসের বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ অনেকেই। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, সোমবার রাত পর্যন্ত হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনের। নিখোঁজ এখনও অনেকে। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে। তবে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা আধিকারিকদের।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে টেক্সাসে আবহাওয়া পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুব একটা নেই। তাই এই মুহূর্তে ভারী বৃষ্টি মাথায় নিয়েই চলছে উদ্ধারকাজ। মৃতদের মধ্যে ২৮ জনই শিশু। ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের আর্জি মেনে বিপর্যয় পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শীঘ্রই টেক্সাসে যাবেন বলে জানান ক্যারোলিন।
আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় টেক্সাসের প্রায় সমস্ত এলাকায় আরও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এদিকে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে মঙ্গলবার বারবার ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। তারই মধ্যে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে কাউন্টিতে যে ২৮ জন শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তারা সকলে একটি সামার ক্যাম্পে যোগ দিতে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, টেক্সাসের ইতিহাসে এই বন্যা অন্যতম বড় বিপর্যয়। জুলাই মাসের ৪ তারিখে হঠাৎ শুরু হয় ভারী বৃষ্টি এবং তার জেরে বন্যা দেখা দেয়। ভারী বর্ষণের জেরে প্লাবিত হয় গুয়াদালুপে নদী। সেদিনই টেক্সাসের গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ৪৫ মিনিটের মধ্যে গুয়াদালুপে নদীর জল ২৬ ফুট বেড়ে যায়। যার জেরে বন্যা ধ্বংসাত্মক রূপ নেয়। সতর্কবার্তা দেওয়ার সময়ই মেলেনি। এখন গুয়াদালুপে নদীর জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে । টেক্সাসের চারদিকে এখন শুধু ধ্বংসের চিহ্ন।