৯ জুলাই সারা ভারত ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ১০টি বাম শ্রমিক সংগঠনের। সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে। রেলের ওপরে বিক্ষিপ্ত প্রভাব পড়লেও মোটের ওপর স্বাভাবিক পরিষেবা।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ সাধারণত ধর্মঘট হলে আলাদা নজর থাকে রেল পরিষেবায় কতটা প্রভাব পড়ছে, কারণ প্রতিদিন বহু মানুষ ট্রেনে করে যাতায়াত করেন, ব্যতিক্রম হয়নি এই ধর্মঘটের ক্ষেত্রেও। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে ট্রেন চলাচলে প্রভাব পড়লেও প্রায় স্বাভাবিক পরিষেবা।
অন্যান্য দিনের মত বুধবারেও যাত্রীদের চেনা ভিড় চোখে পড়ল। বুধবার সকালে তারকেশ্বরের তালপুর স্টেশনে তারকেশ্বর-আরামবাগ ট্রেন আটকে দেয় বাম কর্মী সমর্থকেরা। ব্যারাকপুর ১৫ নম্বর রেলগেটের কাছে অবোরোধ করে বনধ সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধ্বস্তাধস্তিও হয়। শেষে রেললাইন ফাঁকা করতে নামানো হয় র্যাাফ। এর জেরে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়, র্যা ফ নামানোর পরে ট্রেন চলাচলা স্বাভাবিক হয়।
শিয়ালদহ মেন লাইনে বেলঘরিয়া, ব্যারাকপুর-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় রেল অবরোধ করা হয়। সাতসকালেই এই রেল অবরোধের জেরে নাকাল হন নিত্যযাত্রীরা। ব্যারাকপুর স্টেশনেও পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় বন্ধ সমর্থনকারীদের। হাওড়ার ডোমজুড়ে বন্ধ সমর্থনকারীদের হটাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় বলে খবর। শ্যামনগর স্টেশনেও ট্রেন অবরোধ করেন বন্ধ সমর্থনকারীরা। সাতসকালে অবরোধেড় জেরে এই শাখায় বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে একাধিক ট্রেন।
হাওড়াগামী ব্যান্ডেল লোকালের সামনেও দেখানো হয় বিক্ষোভ। অন্যদিকে ইছাপুরেও একই ছবি। বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। শেষে পুলিশের তৎপরতায় ওঠে অবরোধ। অন্যদিকে তারকেশ্বরের তালপুর স্টেশনে তারকেশ্বর-আরামবাগ ট্রেন অবরোধ করে বামেদের কৃষক ক্ষেত মজুর সংগঠন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে ট্রেন অবরোধ। যাদবপুর স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মেও মিছিল করে আসতে দেখা যায় প্রচুর বাম কর্মী-সমর্থকদের। তারপর সেখান থেকে দুনম্বর প্ল্যাটফর্মে চলে যান। ওঠে স্লোগান।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদী সরকারের শ্রম কোড বাতিলের দাবিতেই বুধবার, ৯ জুলাই এই দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনগুলি। নয়া শ্রম কোডে ১২ ঘণ্টার ওয়ার্কিং আওয়ার চালুর বন্দোবস্ত করা হয়েছে এবং সংগঠিত ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ কর্মীই শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে চলে যাচ্ছে বলে ট্রেড ইউনিয়নগুলির দাবি। তারই প্রতিবাদে ধর্মঘট। তবে বিক্ষিপ্ত অশান্তি হলেও প্রায় স্বাভাবিকের পথে জনজীবন।