প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন পঞ্চদেশীয় সফরে, ঠিক সেই সময়ে মোদির গড় গুজরাটে ভেঙে পড়ল সেতু যার জেরে এখনও অবধি ৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ বুধবার সকালে ভডোদরায় মহীসাগর নদীর উপর ভেঙে পড়ে গম্ভীরা সেতু। দুর্ঘটনার সময় সেতুর উপরে থাকা অন্তত চারটি গাড়ি নদীতে পড়ে যায় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় ন’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার সকালে গুজরাটের ভডোদরার পডরা তালুকের গম্ভীরা-মুজপুর সেতুর উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। আচমকাই সেতুর মাঝামাঝি অংশ কার্যত খসে পড়ে নীচের মহিসাগর বা মাহি নদীতে। সেতুর ওই অংশে তিন-চারটি গাড়ি ছিল। সব সমেতই সেতুর ওই অংশ নদীতে পড়ে যায়। সেতুর যে অংশ দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার একেবারে কিনারায় বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে রয়েছে একটি তেলের ট্যাঙ্কার। এটিও যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে হুড়মুড়িয়ে নদীতে পড়তে পারে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ব্রিজের বয়স ৪৫ বছর। প্রতিদিনই ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে দূরপাল্লার ভারী যানবাহন চলাচল করে। কীভাবে সেতুটি ভেঙে পড়ল, তা ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফ থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেতুটির স্বাস্থ্যের অবস্থা কেমন ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, নিয়মিত কি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হত, প্রশ্ন উঠছে তাই নিয়েও।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ‘‘ওই সময় দু’টি ট্রাক, একটি ভ্যান এবং একটি গাড়ি সেতু দিয়ে যাচ্ছিল। সেতুর একটি অংশ আচমকাই ভেঙে পড়ে। ওই অংশে থাকা গাড়িগুলিও উপর থেকে সোজা নদীতে গিয়ে পড়ে। তবে খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় উদ্ধারকারী দল। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভডোদরায় পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রোহন আনন্দ। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূলের তরফে অরূপ চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘’এত বিকাশের চাপ নিতে পারেনি গুজরাট। ইতিমধ্যেই মৃত ৩ জন, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আচ্ছা একেই কি “না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা” মডেল বলা হয়? এটি ‘অ্যাক্ট অফ গড’ নাকি এটি ‘অ্যাক্ট অফ ফ্রড’? মাননীয় শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার, অমিত মালব্য এবং শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়। এই নিয়ে একটা পোস্ট হবে নাকি?’’