নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ হতেই শুরু হয়ে গেছে তৎপরতা। প্রার্থী বাছাই প্রচারে তীব্র ব্যস্ততা রাজনৈতিক শিবিরে। এর মাঝে ভোটকর্মীদের জন্য সুবিধার কথা জানালো নির্বাচন কমিশন। এবার বাড়িতে বসেই প্রশিক্ষণের সুযোগ পেতে পারেন ভোটকর্মীরা। এই বিশেষ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘পোলস্টার’। বাড়িতে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ভোট সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা পেতে পারবেন ভোটকর্মীরা।
এই বিষয়ে সবচেয়ে উদ্যোগী হয়েছে উত্তর কলকাতার নির্বাচন আধিকারিক। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে উত্তর কলকাতার ভোটকর্মীদের জন্য। লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। বর্তমান লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩ জুন। তার আগে সারা দেশে মোট ৫৪৩টি আসনে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছে কমিশন।
১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ হবে বিভিন্ন কেন্দ্রে। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হবে ২৩ মে। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে চালু হয়ে গেছে নির্বাচনী আচরণ বিধি। অর্থাৎ, ভোট প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনও প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারবে না কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি। স্যোশাল মাধ্যমগুলিতে নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে মাইক, লাউড স্পিকারের ব্যবহার। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনে ভোট হবে সাত দফায়। প্রথম দফায় ভোট হবে দু’টি আসনে, দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে তিনটি আসনে, তৃতীয় দফায় ভোট হবে পাঁচটি আসনে, চতুর্থ দফায় ভোট হবে আটটি আসনে, পঞ্চম দফায় ভোট হবে সাতটি আসনে, ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে আটটি আসনে এবং সপ্তম দফায় ভোট হবে ন’টি আসনে।