হাওড়া: আজ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ১৮৪ তম জন্মতিথি। রাজ্যজুড়ে সারম্বরে পালিত হচ্ছে এই বিশেষ দিন। এদিন সকাল থেকেই বেলুড় মঠ, হুগলী জেলার কামারপুকুরে ভক্তদের ঢল। নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে দিনটি। প্রতিবছরের মতো এদিন সকাল থেকেই বেদপাঠ, প্রার্থনা, স্তব ও স্তুতি, ভজন, সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৮৩৬ সালে হুগলীর কামারপুকুরের এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন গদাধর। তাঁর পিতা ছিলেন ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় ও মা চন্দ্রমণি দেবী।
পিতার ইচ্ছায় গয়াতে বিষ্ণু মন্ত্রে দীক্ষিত হন গদাধর। এরপর দাদা রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জীবিকার টানে চলে আসেন কলকাতায়। ক্রমে জানবাজারের রাণি রাসমণির প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণেশ্বর মন্দির হয়ে ওঠে তাঁর সাধন তীর্থ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবধর্মের উর্ধে গিয়ে মানব ধর্মের প্রচার করেন তিনি। জাতিভেদ, ধর্মীয় কুসংস্কারের মূলে কুঠারাঘাত করেছিলেন রামকৃষ্ণদেব।
মহাশিবরাত্রি ব্রতের ফল পেতে কি করবেন
জীবনদর্শনের নতুন পথ প্রদর্শক ছিলেন তিনি। নিজের স্ত্রী সারদা দেবীকে মাতৃজ্ঞানে পুজো করে বিশ্বের কাছে নারীর প্রতি বিশেষ বার্তা ও সম্মান প্রতিষ্ঠা করেন। স্বামী বিবেকানন্দ, কেশব চন্দ সেন, শিবনাথ শাস্ত্রীর মতো প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বরা তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। শুধু বেলুড় বা কামারপুকুরে নয়, সারা রাজ্যে ও দেশের রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সমস্ত শাখায় পালিত হচ্ছে রামকৃষ্ণ জন্মোৎসব। আগামী দু দিন নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে চলবে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্মতিথি স্মরণ।