ওয়েব ডেস্ক: ২০১৯ সাধারণ নির্বাচনের নির্ঘন্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশিত। প্রথম দফার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্যে আসছে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, তিনটি পর্যায়ে রাজ্যে আসবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার নির্বাচন কমিশনার এবং প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকরা।
কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে প্রথম দফা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া হবে। ১২৫ কোম্পানি সেনার মধ্যে ১৫ কোম্পানি সেনা থাকবে ‘স্ট্রং রুম’এবং গণনা পর্বের দায়িত্বে। শুক্রবার রাজ্যে এসে পৌঁছেছে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বীরভূম-ঝাড়খন্ড সীমান্তে রুটমার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
পাশাপাশি ১ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া, উত্তর দিনাজপুরে।
রাজ্যের ভোটাররা যাতে নিরাপদে ভোট দিতে পারেন, তাই ভোট শুরুর ২৫ দিন আগেই রাজ্যে এসে পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনী।
বিরোধীদের অভিযোগ, নির্বাচনের আগে ঝাড়খন্ড সীমান্ত দিয়ে দুষ্কৃতিরা এই রাজ্যে ঢোকে।
ইতিমধ্যেই বিরোধীরা রাজ্যের বেশকিছু ভোট গ্রহণ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করার আর্জি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
তার বিরোধীতা করে তৃণমূলের মহিলা সেল অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে ।
তবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব কমিশনে একটি রিপোর্ট পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন এবার রাজ্যে ‘বিশেষ’ বা ‘অতি’ স্পর্শকাতর বুথ নেই।
বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, রাজ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও তা ব্যবহার করা হয় না।
নির্বাচন আধিকারিকদের বক্তব্য এবার সমস্ত বাহিনীকেই ব্যবহার করা হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থার সমস্ত আপডেট নেবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছ থেকে।