হুগলি: বিজয়া মানে নারকেল নাড়ু ,ভাইফোঁটা লেখা ক্ষীরের সন্দেশে ভাতৃদ্বিতীয়া পালন হয়।
দোলের রঙিন সন্দেশ থেকে দেওয়ালির ঘিয়ে ভাজা লাড্ডু, বাঙালী হোক বা অবাঙালী বারোমাসে তেরো পার্বনের সঙ্গে জড়িত আছে এমন বিভিন্ন মিষ্টির নাম।
গণতন্ত্রের মহোৎসব ভোটের পাতে মিষ্টি বা বাদ যায় কি করে?
চৈত্রের রোদে তেতে পুড়ে প্রচার করছেন প্রার্থীরা।
চলছে পরস্পরের বিরুদ্ধে খাট্টামিঠা তর্ক-বিতর্কের ঝড়।
সারাদিন রাজনীতির তেতো ভাষণের শেষে রাতে বা দুপুরে খাওয়ার পাতে কয়েকটা মিষ্টি হলে মন ভরে যাবে সবার।
ভোটের ময়দানে পক্ষ-বিপক্ষ সকলকেই মিষ্টিমুখ করাতে দলীয় প্রতীকের ছাপ লাগানো সন্দেশ নিয়ে হাজির হল হুগলির মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান ফেলু মোদক।
হুগলির রিষড়ায় প্রখ্যাত এই মিষ্টির দোকানে পাবেন তৃণমূল, বিজেপি, সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের ছাপ দেওয়া সন্দেশ।
পচিঁশ থেকে পঞ্চাশ গ্রাম ওজনের প্রতীক সন্দেশ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩০০ টাকায়।
শুধু সন্দেশই নয়, রসের হাঁড়িতেও পাবেন রাজনীতির রস।
গেরুয়া, সাদা, সবুজ, লাল রঙের রসোগোল্লা বিক্রি হচ্ছে এই দোকানে।
সামনেই নববর্ষ, জোরকদমে চলছে ভোটের প্রচার, মিষ্টিমুখ করতে তাই আগে থেকেই দোকানে অর্ডার দিয়েছে দলগুলি।
অতিথি আপ্যায়ন থেকে উপহারের ডালি, সর্বত্রই দলীয় প্রতীকের সন্দেশ বিলি করতে চায় রাজনৈতিক দলগুলি।
শুধু রাজনৈতিক দলগুলি নয়, সাধারণ মানুষও তার পছন্দের দলের প্রতীক নিয়ে আনায়াসেই নববর্ষে চায়ের আসরে সেরে নিতে পারেন মতবিনিময়।
দোকানের অন্দরে খোঁজ নিলেই জানা যাচ্ছে, রাজ্যের দুই ফুলের চাহিদায় কেউ পিছিয়ে নেই।
ফেলু মোদক দুই ফুলের ডালিই সাজিয়েছেন সমানভাবে।
আট থেকে আশি সকলেই এই নতুন মিষ্টিতে আকৃষ্ট হয়েছেন।
ভোটের মিষ্টির চাহিদা তাই তুঙ্গে। ভেষজ রঙ দিয়ে তৈরি হওয়ায় এই মিষ্টিতে ক্ষতি নেই শরীরের।
ভোটের ময়দানে রাজনৈতিক দলগুলির মতো এখন চুড়ান্ত ব্যস্ততা শুরু হয়েছে ফেলু মোদকের মিষ্টির হেঁশেলে।