ওয়েব ডেস্ক: স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং জীবন ধারনের ওপর নির্ভর করে তৈরি করা হয় মাল্টিডাইমেনশনাল প্রভাটি ইনডেস্ক। এবার সেই সূচকের নিরিখেই দশটি দেশের মধ্যে সব থেকে দ্রুততার সঙ্গে নাম উঠে এল ভারতের।সঙ্গে রাজ্য হিসেবে প্রথম হল ঝাড়খন্ড।১০ টি দেশের নিরিখে তৈরি এই সূচকে খুব তাড়াতাড়ি উন্নতি করছে ঝাড়খন্ড বলে জানা গেছে।
২০১৯ এর এমপিআই এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৫-২০০৬ এবং ২০১৫-২০১৬ এর মধ্যে ২ কোটি ৭১ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রতা থেকে বের আনতে সক্ষম হয়েছে ভারত। দশটি বিশেষ সূচকের নিরিখের ওপর এই মাপকাঠি বানানো হয়েছিল যেখানে রান্নার জ্বালানী, স্যানিটেশন এবং পুষ্টির সহ ছিল আরও নানান বিষয়।
দ্রারিদ্রতার কারণ এবং ব্যাপ্তি অনুসন্ধান করে দশটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ১০১ টি দেশের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছে এমপিআই।সেখানে তারা দেখেছে গত ১০ বছরে ঝাড়খন্ডের শহরের দিকে দ্রারিদ্রতার পরিমান ৭৪.৯ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬.৫ শতাংশে।যেখানে কম্বোডিয়ার রত্নক কিরির পরই স্থান ঝাড়খন্ডের।যা ভারতের অন্যান্য দারিদ্রতম এলাকা যেমন বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মত রাজ্যগুলির থেকে খুব দ্রততার সঙ্গে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন : দাম কমল ম্যাকবুকের, কলেজপড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট
যে দশটি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক বিভাগ অনুযায়ী তুলনা করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে পেরু, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, নাইজেরিয়া, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, হাইতি।
১০১ টি দেশের মধ্যে ২৩.১ শতাংশ মানুষ রয়েছেন যারা দারিদ্রতার সীমার নীচে বসবাসকারী।যার ৫০ শতাংশই শিশু।এবং এর তৃতীয়াংশই ১০ বছরের নীচের বয়সী। ৮৫ শতাংশই মানুষই দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ সাহারাতে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত।