Date : 2024-04-20

চাহিদা কমছে বিস্কুটের, কোম্পানি বাঁচাতে ১০,০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে পার্লে….

ওয়েব ডেস্ক:- সকাল সকাল এক কাপ চায়ে গলা না ভিজিয়ে নিলে দিনটা শুরুই হয়? কিংবা আপনার সন্তান যখন দুধের গ্লাস নিয়ে স্কুল ড্রেস পড়ে টেবিলে বসে সুর করে বলে “না দুধ খাবো না…”, তখন তাকে সামলাতে হাতে দুটো পছন্দের সুস্বাদু বিস্কুট এগিয়ে দেন। টিভির পর্দায় বিস্কুট নিয়ে এমন অনেক বিজ্ঞাপনও দেখেছেন নিশ্চয়ই, কিংবা বিজ্ঞাপনের সেই দুটো লাইন ” জি ফর জিনিয়াস” টিভির পর্দায় অনেকটাই ম্লান হয়ে এসেছে। দেশ জুড়ে আর্থিক মন্দার শিকার বিভিন্ন কোম্পানি। পরিস্থিতির চাপে এবার কি চা বিস্কুটের থেকেও মুখ ফেরাচ্ছে মানুষ? ভারতের গাড়ির বাজারে ধস নামায় হিরো হুন্ডার মতো কোম্পানি তিন দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল তাদের কারখানা।

ক্রেতা বিক্রেতাদের মাথায় হাত পড়েছিল। এবার বিপাকে পড়েছে বিস্কুট প্রস্তুতকারি সংস্থা পার্লে। বিগত ৯০ বছর ধরে দেশের জন্য রকমারি বিস্কুট প্রস্তুত করে চলেছে এই সংস্থা। দীর্ঘদিনের সাফল্যের পর এ বার প্রায় ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন : দাম কমল রয়্যাল এন্ডফিল্ডের

বর্তমানে এই সংস্থায় কর্মরত আছেন প্রায় ১ লক্ষ কর্মী। তাদের মধ্যে অনেকেই অস্থায়ী কর্মী এদের ভবিষ্যৎ এবার অনিশ্চিত হতে চলেছে। সংস্থার কর্ণধার মায়ঙ্ক শাহ বলেছেন, বিগত কয়েক মাস ধরেই এই কোম্পানি আর্থিক মন্দার মধ্যে দিয়ে চলছে। বাজারে কমেছে পার্লে কোম্পানির বিস্কুটের চাহিদা।

আরও পড়ুন : গাড়ির বাজারে মন্দা, ৪ দিন কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত হিরোর

তাঁর বক্তব্য, ২০১৭ সালে জিএসটি লাগু হওয়ার পর থেকেই কোম্পানি মন্দার মুখ দেখতে শুরু করেছে। সংস্থার তরফে খবর স্থায়ী কর্মীদের থেকেও অস্থায়ী কর্মীরা ছাঁটাইয়ের কোপে পড়তে পারেন। এই সংস্থার অন্যতম বিস্কুটের ব্র্যান্ড ‘পার্লে জি’। ২০০৩ সালে বিশ্বের জনপ্রিয় বিস্কুটের ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে অন্যতম নাম হয়ে ওঠে পার্লে। তবে হঠাৎ-ই গ্রামীন বাজারে বিস্কুটের চাহিদা ক্রমশ কমতে শুরু করায় মন্দার মুখে পড়েছে সংস্থা। কোম্পানিকে বাঁচাতে তাই ছাঁটাই ছাড়া আর কোন পথ নেই বলেই জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।