ওয়েব ডেস্ক: টানা ৩ দিন ধরে জীবন্ত অবস্থায় হাসপাতালের মর্গে রইলেন এক ব্যক্তি। ঘটনার জেরে অসমের তিনসুকিয়া জেলার সরকারি হাসপাতাল থেকে দ্রুত উদ্ধার করা হয় তাকে। যদিও এই ৩ দিন তিনি সম্পূর্ণ অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন। ব্যক্তির নাম মহম্মদ হুসেন। ঘটনার পর তিনি জানিয়েছেন মৃত মানুষের সঙ্গে তার অচেতন অবস্থায় কেটেছে ফলে কোন অনুভুতি হয়নি তার।
হাসপাতালের মর্গে নিথর অবস্থায় পড়ে থাকলেও তার নড়াচড়া দেখে হাসপাতালের কর্মীরা আন্দাজ করেন তিনি বেঁচে থাকতে পারেন। হাসপাতালের ওই কর্মীদের কথায় ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখে মর্গে জ্ঞানহীন অবস্থায় জীবিত আছেন ওই ব্যক্তি। ঘটনার জেরে হৈচৈ পড়ে যায় হাসপাতালে। খবর দেওয়া হয় মহম্মদ হোসেনের বাড়িতে। গত ৩১ জুলাই অসমের তিনসুকিয়া জেলার গোপীনাথ বরদলৈ অসামরিক চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন জিআরপি।
সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ফেলে রাখার পর কার্যত পরীক্ষা না করেই চিকিৎসক ও নার্সরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপরে তার দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালের মর্গে। খবর দেওয়া হয় মহম্মদ হোসেনের বাড়িতে। কিন্তু ৩ দিন কেটে গেলে মহম্মদ হোসেনের শরীরে হঠাৎই প্রাণের সঞ্চার লক্ষ্য করেন হাসপাতালের দুই কর্মী। গোটা ঘটনায় যদিও বা দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের সুপার এনসি মহন্ত জানান, ওই হাসপাতালে কোন মর্গ নেই। পুলিশের পাঠানো তিনজন ব্যক্তির দেহ আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। ওই তিনজনের মধ্যে একজনের নাম মহম্মদ হুসেন। সেখানেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। কিন্তু মর্গের বদলে হাসপাতালে মৃতদেহ আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।