Date : 2024-03-29

এই কি তবে নরকের দ্বার! ৪০ বছর ধরে এই গর্তেই বাস করছে শয়তান?

ওয়েব ডেস্ক: মহাভারতে বর্ণিত আছে ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির সারা জীবনে মাত্র একটি মিথ্যে কথা বলার জন্য পাণ্ডবদের সঙ্গে মহা প্রস্থানের পথে যাওয়ার সময় তাঁর নরক দর্শন হয়েছিল। পাপ-পুণ্য, স্বর্গ- নরক এসবের কথা আসলেই ধর্মভীরু মানুষের বুকের ভিতরটা ঢিপ ঢিপ করে ওঠে। কিন্তু এই স্বর্গ বা নরকের অস্তিত্ব বাস্তবে কেউ দেখেনি, কিন্তু কল্পনার মানচিত্রে এর উপস্থিতি খুবই উজ্বল।

অগত্যা কল্পনাকেও তো বাস্তবে খুঁজে নেওয়ার প্রবনতা মানুষের মধ্যে আছে। তাই সাক্ষাৎ নরকের সন্ধান নাকি হয়ে গেছে মানুষের। আজ থেকে ৪০ বছর আগে হঠাৎ-ই তুর্কমেনিস্তানে কারাকুম মরুভূমির দেরওয়াজে গ্রামের কাছে একটি প্রকান্ড গর্ত থেকে নাকি দাউ দাউ করে বেরিয়ে আসতে থাকে আগুন।

আরও পড়ুন : সাজানো বসতি নিয়ে আজও অপেক্ষায় রাজস্থানের ‘ক্ষুধিত পাষাণ’

২৩০ ফুট ব্যাস ও ৬৫ ফুট গভীর এক গর্ত এই গর্তকে শয়তানের চারণ ক্ষেত্রও বলেছেন অনেকে। ১৯৭১ সাল থেকে এই ভাবেই জ্বলছে এই গর্তের আগুন আর তাই দেখেই উৎসাহী মানুষের ভিড়ের শেষ নেই।

কিন্তু এই গর্তের পিছনে যে রহস্য আছে তা অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক। ১৯৭১ সালে একদল রুশ ভূতত্ত্ববিদ এই স্থানে আসেন খনিজ তেল ও গ্যাসের অনুসন্ধান করতে। এই স্থান পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাঁরা বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে স্থানটি খুঁড়তে শুরু করেন। কিন্তু মরুভূমির বুকে গভীর গর্ত খোঁড়ার সময় হঠাৎ-ই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মাটি ধসে পড়ে যায়।

সেখান থেকেই বেরিয়ে আসতে শুরু করে বিষাক্ত কিছু গ্যাস। অবশ্যই এই গ্যাসের তালিকায় ছিল ভূ-গর্ভস্থ মিথেন গ্যাস। বিষাক্ত গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে যাতে না পড়ে তার জন্যই এই প্রকাণ্ড গর্তে আগুন লাগিয়ে দেয় ভূ-বিজ্ঞানীরা। সেই থেকেই অফুরন্ত এই বিষাক্ত খনিজ গ্যাসের ভান্ডারে আগুন জ্বলেই আছে। মরুভূমির বুকে অনেক দূর থেকে এই গর্ত দেখতে পাওয়া য়ায়। রাতের বেলায় দূর থেকে জ্বলতে থাকা এই আগুণের শিখা মায়াবী রূপ নেয়। যেন মনে হয় নরকের দ্বার উন্মুক্ত হয়ে আছে। এই গর্ত দেখতে বহু পর্যটকরা ভিড় জমান। ভয়ানক সেই গর্ত বিশ্বজুড়ে বিস্ময় ছড়াচ্ছে।