Date : 2024-04-27

অযোধ্যায় রাম মন্দিরে হলে “সোনার ইট” দিতে চান এই মোঘল উত্তরসূরী….

ওয়েব ডেস্ক: অযোধ্যাতে রাম মন্দির নিয়ে যুযুধান দেশের দুই সম্প্রদায়। হিন্দু-মুসলিম ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এই মামলা। এবার সেই বিতর্কিত রাম মন্দির ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন হাবিবুদ্দিন তুসি। নিজেকে তিনি শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের বংশধর বলেন। বাবরের বংশধর হিসাবে রাম মন্দির নিয়ে তাঁর কন্ঠে সম্পূর্ণ ভিন্ন সুর। বাবরের বংশধর হিসাবে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিটি নাকি সুপ্রিম কোর্টের উচিত তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। জমি তাঁর হস্তগত হলে তিনি পুরো জমিই রাম মন্দিরের জন্য হিন্দুদের হাতে তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন : পোখরানের অনুষ্ঠানে পরমানু অস্ত্র নিয়ে বিষ্ফোরক রাজনাথ সিং

হাবিবুদ্দিন তুসি বলেন, “রাম নিয়ে এই দেশের মানুষের আবেগ আমি বুঝি। তাই বিতর্কিত ওই জমিতে রাম মন্দিরই তৈরি হওয়া উচিত।” আযোধ্যার জমি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন : কাশ্মীর ইস্যুতে হস্তক্ষেপ না করে উভয়পক্ষকে সংযত থাকার বার্তা রাষ্ট্র সংঘের

তবে তিনি শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহের বংশধর কিনা তা এখনও প্রামাণ্য বিষয়। প্রতিপত্তি, সমাজে মান-মর্যাদা আর সেভাবে না থাকলেও সাধ্যমতো সেই ঐতিহ্য বহন করে চলেছেন হায়দরাবাদের কাঞ্জনবাগের বাসিন্দা হাবিবউদ্দিন তুসি। তিনি আরও জানান, অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানে রাম লালার মন্দির তৈরি হলে তিনি সোনার ইট দান করবেন সেখানে।

উল্লেখ্য, দেশের শীর্ষ আদালত তাঁর দাবি খতিয়ে দেখার জন্য গ্রহণ করেছেন এবং এই বিষয়ে শুনানিও হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ২.৭৭ একর জমির কোন দাবিদার নেই। একমাত্র হাবিবুদ্দিন তুসিই নিজেকে শেষ মুঘল সম্রাটের বংশধর বলে এই জমির দাবি করে কোর্টে অ্যাপিল করেন। নামের আগে “প্রিন্স” ব্যবহার করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রিন্স উপাধি চলে না বলেই তিনি অনেকবার সমস্যার সম্মুখীনও হয়েছেন। উজবেকিস্তান থেকে নাকি তাঁকে মোঘল সম্রাটের উত্তরসূরী বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। এমনকি ডিএনএ পরীক্ষায়ও নাকি প্রমানিত হয়েছে। রাজকীয় বেশভূষা পড়লেও তিনি সাধারণ পোশাক পরতেও পছন্দ করেন। অযোধ্যায় অনেকবার তিনি ঘুরতেও এসেছেন, রাম মন্দিরে পুজোও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।