Date : 2024-03-28

১৫ নভেম্বর দলের ছাত্র-যুবর যোগ্য নেতৃত্ব বাছবেন তৃণমূল নেত্রী…

কলকাতা: “উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে দলকে ভাঙতে চাইছে” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেস মঞ্চ থেকে চড়া সুরে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “আমি জেলে যেতে রাজি আছি। কিন্তু বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব। আর জেলে নিয়ে গেলে বুঝবো স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছি, দেশ পরাধীন হয়ে গেছে।” সমাবেশের প্রথম থেকেই এদিন তৃণমূল নেত্রীর নিশানায় ছিল বিজেপি, নাম না করে মুকুল রায়কে আক্রমন করতেও তিনি ছাড়েননি। তিনি বলেন, ১০৭ জন বিধায়কের নাম নিয়ে ঘুরে নাভ নেই, আগে ৭ জন বিধায়কের নাম প্রকাশ করুক বিজেপি।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতটাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছেছে যে গণতন্ত্রের বদলে একনায়কতন্ত্রের দিকে এগিয়ে চলেছে। প্রেসিডেন্সিয়াল ডেমোক্রেসির দিকে এগিয়ে চলেছে দেশ। দেশে মানুষের কথা বার অধিকার হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। সমস্ত সংবাদমাধ্যম কিনে নিয়েছে বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি।

সংগঠনকে আরও মজবুত করার জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর নেতাজী ইন্ডোরে ছাত্র-যুবদের সঙ্গে বিশেষ মিটিং করবেন তিনি, এদিন সমাবেশ মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী। নেতাজী ইন্ডোরের অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের হাতেই তুলে দেবেন আগামী দিনের সংগঠনের দ্বায়িত্ব।

আরও পড়ুন : ‘দিদিকে বলো’ র ফিডব্যাক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠান ভিডিও, পান পুরস্কার

ছাত্র সমাবেশ উপলক্ষ্যে ছাত্র-যুবর মিছিল

লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল না হলেও আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই দলকে তৈরি করবেন বলে এদিন ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে জানা। সকাল থেকেই জেলা ও কলকাতার কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়গুলি থেকে দলে দলে ছাত্রীরা যোগ দিতে আসে ছাত্র সমাবেশে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ছাত্র সমাজই আগামীদিনে বাংলার উৎকর্ষ। তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে রাজ্যে ৩৮ টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। কন্যাশ্রীর ক্ষেত্রও প্রসারিত হয়েছে স্কুল থেকে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে। আগামীদিনে ছাত্র সমাজকে সংগঠনের হাল ধরতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।