ওয়েব ডেস্ক: আকাশের দিকে তাকিয়ে পাখী, গ্রহ, নক্ষত্র আর আমাদের সবচেয়ে কাছের উপগ্রহ চাঁদকে দেখতেই আমরা অভ্যস্ত। এছাড়াও মানব সভ্যতার উড়ানে চেপে আকাশের বুকে ঘুরে বেড়াতে পারে মানুষ। কিন্তু এসবের বাইরে আকাশে অন্য কোন কিছু যদি দেখে ফেলেন? তখনই বিস্ময়ে শোরগোল পড়ে যায়। সাধারণ দৃশ্যের বাইরে অপরিচিত একটি আলোর বিন্দুও যদি আকাশে ভেসে ওঠে আতঙ্ক, জিজ্ঞাসা, উৎসাহের প্রশ্নে তোলপাড় করে ওঠে মনে। কি সেই আলোর উৎস? উত্তর খোঁজার আগে আসে ভীতি। ভীতি থেকেই জন্ম নেয় গুজব।
বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ যখন থেকেই জানতে পেরেছে এই গ্রহের বাইরেও বিরাজ করছে অন্য আরও অসংখ্য ইউনিভার্স তখন থেকেই অন্যগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে মানুষের মনের মধ্যে। ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ বাড়িয়েছে ইউএফও।
কিন্তু ইউএফও স্বীকৃতি পায়নি বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে। এসবই চোখের ভুল বলে উড়িয়ে দিয়েছে বিজ্ঞান গবেষনা সংস্থাগুলি। কিন্তু ২০১৪ সালে চিনের তাইওয়ানের মেঘাচ্ছন্ন আকাশে যা ঘটল তাও কি চোখের ভুল? দিনে দুপুরে মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কোলে হঠাৎ-ই ভেসে উঠতে দেখা গেছে একটি আস্ত শহরকে। মেঘের আড়াল থেকে ভেসে থাকা সেই শহরে একাধিক বড় বড় বাড়ি দেখা যাচ্ছিল।
দূর থেকে দেখলে পূর্ণাঙ্গ একটি আধুনিক শহরের বহুতল বিল্ডিং, অফিস, রাস্তাঘাটের ধারে থাকা নিয়ন গ্যাসের পথবাতির স্তম্ভগুলিও চোখে পড়বে। কিন্তু এ শহর কাদের? সেই নিয়েই নেট দুনিয়ায় তীব্র আলোড়ন পড়ে যায়।
সেখানে উপস্থিত পর্যটক থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষের ক্যামেরায় বন্দি হয় আচমকা মেঘের কোলে জেগে ওঠা সেই ফ্লোটিং সিটির ছবি। মুহুর্তের মধ্যে গুজবও ছড়িয়ে পড়ে হয়তো ভিন্ন গ্রহের অজানা শহর জেগে উঠেছে আকাশে। সেখান থেকেই আমাদের উপর চোখ রাখছে ভিনগ্রহের জীবরা।
আলোর রিফলেক্সনের কারণেই নাকি সেই শহরের ছবি ভেসে উঠেছে তাইওয়ান শহরের আকাশে ভাসমান মেঘের মধ্যে। চিনের বাসিন্দারা একে এঞ্জেল সিটি বলেছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মত, এটা সম্পূর্ণ দৃষ্টিভ্রম। মরুভূমিতে যেভাবে মরীচিকা ভেসে ওঠে ঠিক সেভাবেই আলোর প্রতিসরণাঙ্কের কারণেই এই শহরটি ভেসে উঠছে মেঘের কোলে। তাদের মত এরকম শহর পৃথিবীতেই আছে। আবহাওয়া জনিত কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। সে যাই হোক, আকাশে ভাসমান শহর এক ঝলকে দেখে থমকে যাচ্ছেন নেটিজেনরা।