Date : 2024-04-23

গুজবের সন্ধান পেতে নতুন নিয়ম কেন্দ্রের?

ওয়েব ডেস্ক : হোয়াটঅ্যাপ, ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলিতে গুজব। আর সেই গুজব থেকে ঘটে যাচ্ছে নানান অপ্রত্যাশিত ঘটনা। ইদানিং গণপিটুনির ঘটনাও মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাই এই সমস্ত প্লাটফর্মে গুজবের ঘটনা ঠেকাতে নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র। এই মর্মে বেশ কিছু আইন আনতে চলেছে ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রক।নতুন এই আইনে এবার গুজব রোখার ক্ষেত্রে এই সমস্ত প্লাটফর্মগুলির কাছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চাওয়া হবে রিপোর্ট।এবং অপ্রত্যাশিত কিছু থাকলে তার মূল মাথা কে তা জানানোনর পাশাপাশি মুছেও দিতে হবে আপত্তিকর সেই পোস্ট।

তবে ব্যক্তিগত পোস্টে অপ্রত্যাশিতভাবে ঢুঁ মারারটা যে ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী। সেই কারণেই অনেকেরই তাতে আপত্তি থাকতে পারে। তবে মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ব্যক্তিগত তথ্যের ক্ষেত্রে যে ধরনের এনক্রিপশন ব্যবহার করে সংস্থা তাতে কোনরুপ রদবদল হবে না। তার বদলে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যদি কোন আপত্তিকর লেখা খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে সেই লেখাটি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জানাবে কেন্দ্র। এবং সেই সংস্থার দায়িত্ব হবে লেখাটির আসল মালিককে চিহ্নিত করা।

আরও পড়ুন: গুগলের অ্যান্ড্রয়েডকে টেক্কা দিতে বাজারে আসছে হারমনি অপারেটিং সিস্টেম

এভাবেই গুজবে রাশ অনেকটাই টানা সম্ভব বলে মনে করছে কেন্দ্র।নতুন এই নিয়মনীতী তৈরির কাজ প্রায় শেষ।খুব শীঘ্রই তা রবিশঙ্কর প্রসাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

নতুন নিয়মে কি কি পরিবর্তন করা হতে পারে তা একটি সাধারন রুপরেখা পাওয়া গেছে, নতুন নিয়মে কোন সরকারী সংস্থার জিজ্ঞাসার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য জানাতে হবে সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলিকে।কোন তথ্যের পেছনে কে রয়েছে তা খুঁজে বের করে দিতে হবে ওই সংস্থাকে।সরকারী সংস্থার নির্দেশে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট বন্ধও করতে হতে পারে সংশ্লিষ্ট প্লার্টফর্মকে।তবে এই সমস্ত নিয়ম লাগু হবে সেই সমস্ত প্লাটফর্মগুলিতে যেগুলির ব্যবহারকারী ৫০ লক্ষের বেশি ।এবং এদের সবারই ভারতে রেজিস্টার্ড অফিস থাকতে হবে।এবং প্রত্যেক সংস্থাকেই একজন গ্রিভান্স অফিসার রাখার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে নতুন নিয়মে।

সম্প্রতি হোয়াটস অ্যাপে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ার জেরে গণপিটুনিতে প্রাণ গিয়েছে বেশ কয়েকজনের। তাই গণপিটুনি সহ হিংসা রুখতে এই ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।তবে এত কিছুর পরেও সোশ্যাল প্লার্টফর্মগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদের পক্ষে কোন মেসেজের মূল প্রেরণকারী কে তা বার করা সম্ভব নয় কেননা এনক্রিপশন পদ্ধতিতে মেসেজ থাকায় তার খোঁজ পাওয়া সম্ভব নয়।