ওয়েব ডেস্ক: ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিলের জেরে পাকিস্তান ও ভারতের সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকতে শুরু করেছে। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষাধিকার বাতিল করার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করেছে পাক সরকার। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পাক সংসদে বিষ্ফোরক বিবৃতিও দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। দ্বিপাক্ষিক বানিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন, আকাশ পথে ভারতের আংশিক প্রবেশ নিষেধ এমনকি ভারত-পাক সামঝোতা এক্সপ্রেস ও থর এক্সপ্রেস বাতিল করে দেয় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের দাবি ভারত অবৈধ ভাবে কাশ্মীর সংক্রান্ত ইস্যুতে একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের সঙ্গে বানিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করায় পাকিস্তানের বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
ঈদের আগে পাকিস্তানের সব্জি বাজারে আকাশ ছুঁতে শুরু করেছে সব্জির দাম। বেশিরভাগ শাক-সব্জি ভারত থেকেই পাকিস্তানে পৌঁছত, দুই দেশের বানিজ্যিক সম্পর্কের চুড়ান্ত অবনতি হওয়ার ফলে পেঁয়াজ, আলু, চাল সহ একাধিক জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া হতে চলেছে।
বিশেষ করে মধ্যবিত্ত মানুষের কপালে হাত পড়েছে কাঁচা বাজারে জিনিসের দাম অগ্নিমূল্য হওয়ায়। ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়াতে দুধ, মাংসের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে পাকিস্তানিদের।
পাকিস্তানের অধিকাংশ খুচরো ব্যাবসায়ী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তাদের কথা, জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঈদের বাজার ফিকে। ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা কাণ্ডের পর থেকে পাকিস্তানকে মিত্রদেশের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে ভারত।
সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভারতের বানিজ্যিক সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও অস্ত্রপাচারকে কেন্দ্র করে। পাকিস্তান থেকে পণ্য রফতানির উপর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ২০০ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি। ফলে বন্ধ হয়েছে ৯২ শতাংশ পণ্যের আদানপ্রদান। পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের বক্তব্য এমন চলতে থাকলে পাকিসল্তানের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত রোজগার বন্ধ হয়ে যেতে আর বেশিদিন বাকি নেই। এর ফলে পাক অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভবনা।