Date : 2024-04-20

গুলি করেই খুন দেবাঞ্জন! ফরেন্সিক নিয়ে টালবাহানা! পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ…

কলকাতা: শুরু থেকেই পুলিশের দাবী ছিল খুন নয় বরং দুর্ঘটনার কারণেই মৃত্যু হয়েছে নিমতার যুবক দেবাঞ্জন দাসের। ঘটনার দিন নবমীর রাতে পুলিশের কাছে পরিবারের তরফে খুনের মামলা দায়ের করার কথা জানানো হলে পুলিশ ডায়েরি নিতে অস্বীকার করে। পরিবারের তরফে অভিযোগ ছিল ত্রিকোণ প্রেমের কারণেই খুন করা হয়েছে দেবাঞ্জনকে। সূত্রের খবর, দেবাঞ্জনের প্রেমিকার প্রাক্তন প্রেমিকের দ্বারাই খুন হয়েছে সে। অবশেষে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে এলো খুনের সত্যতা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে দেবাঞ্জনের শরীরে দুটি ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। এই ক্ষত চিহ্ন গুলির দাগ দেখে এমনটাই বলা হয়েছে। এদিকে প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। তবে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পুলিশের তরফে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে দেবাঞ্জনের প্রেমিকার প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজো নবমীর দিন রাতে প্রেমিকাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ফেরার সময় রাস্তায় রহস্যজনক মৃত্যু হয় বছর ২০এর দেবাঞ্জন দাসের। অভিযোগ, তাকে মাথার পিছন থেকে গুলি করা হয়েছে এবং মুখের সামনে দিয়ে সেই গুলি বেরিয়ে যায়। এই মর্মান্তিক খুনের ঘটনাকে পুলিশের তরফে প্রথমে দুর্ঘটনা বলা হয়। পরিবারের তরফে খুনের মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।

আরও পড়ুন: মেয়ের কন্ঠস্বরে ফোন করে প্রতারণা যুবকের, ফাঁদে ব্যান্ডেলের পাত্র

পরিবারের তরফে অভিযোগ, নিমতা থানা থেকে উল্টে তাদের ভয় দেখানো হয়। পরিবারের তরফে জানানো হয়, যদি গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলেই পড়ত তবে এয়ার ব্যাগ খুলে যেত। কিন্তু এয়ার ব্যাগ খোলেনি। ঘটনার পর ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত গাড়িটির ফরেন্সিক পরীক্ষা পর্যন্ত হয়নি। ঘটনাটি নিয়ে মূলত নড়ে চড়ে বসেছে সংবাদ মাধ্যম। বৃহস্পতিবার নিমতা থানায় আসেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার। তার নেতৃত্বেই শুরু হয় তদন্ত।