কলকাতা: কালীপুজোর রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল শহরে। আলোর রোশনাই দুঃখের অন্ধকারে নেমে এলো বড়িষার বিদ্যাসাগর কলোনির দাস পরিবারে। ওই পরিবারের বছর পাঁচেকের শিশু আদি দাসের তুবড়ি ফেটে মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর এদিন পাড়ায় সন্ধ্যা নাগাদ বাজি পোড়ানো চলছিল। ছোট্টো আদি দাস ওই সময় তার ঠাকুমার সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। সূত্রের খবর, প্রথমবার আগুন দেওয়ার পরেও জ্বলেনি তুবড়িটি। এরপর দ্বিতীয়বার আগুন দিতে গিয়েই সশব্দে ফেটে যায় তুবড়িটি। তুবড়ির মাটির খোলাটি তীব্র গতিতে এসে ঢুকে যায় আদি দাসের গলায়। সেই মুহুর্তে প্রচুর রক্তপাত হয় তার গলা থেকে। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারায় ছোট্টো আদি দাস।
আহত অবস্থায় তাকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, কলকাতা পুলিশের কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরে বাড়তে থাকে শব্দ বাজির দাপট। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও দেদার নিষিদ্ধ বাজিও পুড়তে শুরু করে। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দীপাবলির রাতে ঔদ্ধত্য দেখা যায় শহরের আনাচে কানাচে।
কলকাতা পুলিশ ও পিসিবি-র চেষ্টায় শহরে দীপাবলির রাতে আইন ভাঙ্গার কারণে ধৃত অন্তত ১১৯০ জন। শব্দবাজি ফাটানো, বিক্রির অভিযোগে ৭৫৮ জনকে, জুয়া খেলার কারণে ৩২ জনকে এবং অশালীন আচরণের জন্য ৪০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও শব্দবাজির তাণ্ডব চলতে থাকে। বিধাননগর কমিশনারেট থেকেও ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।