কলকাতা: টালাব্রিজ বন্ধের জেরে তীব্র যানজট উত্তর কলকাতা জুড়ে, এর জেরে নবান্নে ফের বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, ফিরহাদ হাকিম অরূপ বিশ্বাস, অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, কলকাতা পুলিশ কমিশনার। বৈঠকে জানানো হয় উত্তর কলকাতার ব্যস্ততম টালা ব্রিজ বন্ধের জেরে পুজোর মুখেই তীব্র যানজটের সম্ভবনা তৈরি হয়েছে উত্তর কলকাতায়। ঘুর পথে পাইকপাড়া হয়ে বাসসহ ভারি গাড়ি গুলি চালানোর চেষ্টা করা হলেও যানজট পিছু ছাড়ছে না। কিন্তু ব্রিজের অবস্থা এতটা বিপদজনক যে ভারী গাড়ি তো দূরের কথা তিনজন সওয়ার নিয়ে কোন গাড়ি উঠলেও যে কোন মুহুর্তে ধেয়ে আসতে পারে বিপদ। ব্রিজের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষনের জন্য রেলের সঙ্গে পূর্ত দফতর সময় সময় যোগাযোগ করলেও, সেই মেরামত তেমন কিছু লাভজনক হয়নি। ব্রিজের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে বিশেষজ্ঞ দল ইতিমধ্যেই ব্রিজটি ভেঙে পুনঃনির্মানের ব্যাবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছে পুর্ত দফতরকে।
ব্রিজ ভাঙতে গেলে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিতে হবে। পুজোর সময় সেই কাজ শুরু করলে যানজটে নাকাল হবেন মানুষ, তাই নোয়াপাড়া থেকে অতিরিক্ত মেট্রো চালানোর আবেদন করা হয়। কিন্তু পুজো উপলক্ষ্যে এমনিতেই নোয়াপাড়া থেকে অতিরিক্ত মেট্রো চালানো হবে। টালা ব্রিজের জন্য আরও বেশি মেট্রো চালানো সম্ভব কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দিন বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “রেল আমাদের কথা শোনে না।
ওদের অনেক দিন আগেই আমরা একাধিক রেল ব্রিজ নিয়ে জানিয়েছিলাম। যেখানে টালা ব্রিজ ছিল। কিন্তু, তারা আমাদের কথা গুরুত্ব দেয়নি রেল।” ব্রিজগুলির ঠিক মতো রক্ষণাবেক্ষনের জন্য যৌথ সমীক্ষা চালাতে রেলের সঙ্গে রাজ্যের মৌ সাক্ষরের কথা এদিন বৈঠকে হয়েছে। তবে আপাতত, টালা ব্রিজের উপর দিয়ে বাস চলবে না। এর জন্য আগামী ১২ অক্টোবর আলাদা করে মিটিং হবে। তারপর সিদ্ধান্ত হবে। আগামী ৩ অক্টোবর বাইরে থেকে প্রতিনিধি এসে সমীক্ষা করবে বলে সূত্রের খবর।