কলকাতা: উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারতে শক্তি বাড়াচ্ছে প্রতিবেশী দেশ। তাই যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারতে অসামরিক বিমানবন্দরে যুদ্ধ মহড়া দিতে দেখা গেল সামরিক বিমানকে। অসমের তেজপুর ঘাঁটি থেকে এই মহড়ার জন্য আনা হয়েছে ৩টি সুখোই-৩০ এমকেআই। তেজপুরের ফ্লাইট কমান্ডার শোভিত মিশ্র জানান, প্রয়োজনে যাতে হলে দ্রুত অসামরিক বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করা যায়, তার প্রস্তুতি হিসেবেই এই প্রথম কলকাতা ও গুয়াহাটিতে সুখোই আনা হল। অসামরিক বিমানবন্দরে অসামরিক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বা এটিসি-র হাতে বিমান ওঠানামার নিয়ন্ত্রণ থাকে।
রানওয়ে ও ট্যাক্সি এলাকার ভারও থাকে অসামরিক ব্যক্তিদের উপরে। যাত্রিবাহী বিমানের সঙ্গে যুদ্ধবিমানের উড়ানে অনেক ফারাক থাকে। তাই এ বারের মহড়ায় অসামরিক কর্মী, এটিসি-র সঙ্গে বায়ুসেনার বোঝাপড়াও দেখে নেওয়া হল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় মহড়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে আনা হয় সুখোই-৩০ এমকেআইয়ের বিমান।
কলকাতা বিমানবন্দরকে তখন বায়ুসেনার ঘাঁটি হিসাবে ব্যাবহার করা হত। এখান থেকেই বাংলাদেশের সীমান্তে গিয়ে বোমা ফেলে আসত সুখোই। বায়ুসেনার একাংশের মত, চিনের কথা ভেবেই হয়তো উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারতে বায়ুসেনার যুদ্ধ মহড়া চলছে। বুধবার রাতে অসামরিক বিমানবন্দরে হঠাৎ-ই এই মহড়া দিতে দেখে বেশ অবাক হন যাত্রীরা। যে কোন পরিস্থিতিতে যেন অসামরিক বিমান পরিষেবা চালু থাকে সেই দিকে তাকিয়েই এই মহড়া বলে মনে করছেন বায়ু সেনা।