ওয়েব ডেস্ক : লাল চিনের দোর্দণ্ডপ্রতাপ খর্ব করে দিল ছোট্ট হংকং।সেখানকার পুরভোটে বিপুল পরিমাণে ভোট পড়েছিল।রবিবার নথিভুক্ত ভোটারদের ৭০ শতাংশের বেশি এই মহানগরে ব্যালটে রায় দিয়েছিলেন।হাজার প্রার্থী এই ভোটে অংশ নেন।৪৫২টি আসনের মধ্যে ৩৪৭ টি আসন জিতে নিয়েছেন গণতন্ত্রের সমর্থকরা।ফলে, হংকংয়ের ১৭-১৮ টি ডিসট্রিক্ট কাউন্সিল তারাই নিযন্ত্রণ করবেন।চিনপন্থী বহু হেভিওয়েট নেতানেত্রীকে হারিয়ে দিয়েছেন তরুণ প্রজন্মের গণতন্ত্রকামী প্রার্থীরা।যদিও চিনা সরকারী প্রচার মাধ্যমে এই জয়কে একেবারেই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।তাদের মতে, এই ভোটের কোনও মূল্য নেই।নিতান্ত তুচ্ছ ব্যাপার।হংকংয়ের নাগরিকদের সুবিধা স্বাচ্ছন্দ্য ও সড়ক পরিবহণ দেখভাল ছাড়া নির্বাচিত পুর প্রতিনিধিদের আজ আর কোনও কাজ নেই।হংকংয়ের পুরভোটে গণতন্ত্রের জয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বেজিং আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়।বলে, চিনের অভ্যন্ত্রীন ব্যাপারে নাক গলানো তাদের পছন্দ নয়।উষ্মার কারণ, হংকংয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন চলার সময় আমেরিকান কংগ্রেস সর্বসম্মতিক্রমে আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে।চিনের বসানো শাসনকর্ত্রীর সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনজীবীদের প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে আন্দোলনের সূত্রপাত।এর পর বেজিংয়ে কমিউনিস্ট পার্টির একদলীয় প্রতিনিধিসভায় একটি বিল আনা হয়।সেই বিলে বলা হয়েছে, হংকংয়ে যাদের চিন বিরোধঘী মনে হবে, তাদের চিনের মূল ভূখণ্ডে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে।হুবুহু তিব্বতে চিনাকরনের ছক।
আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রে আস্থা ভোট কাল
ওই বিল উত্থাপনের পরে হংকংয়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করে।কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নামে।আন্দোলন স্তিমিত হওয়ার দুদিন বাদেই আর্ন্তজাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে পুর নির্বাচন হয়।নতুন নির্বাচিত পুর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বেজিংয়ের চোখরাঙানো বিল আইনে রুপান্তরিত হলে হংকং আরো কঠিন পদক্ষেপ নেবে।বেজিং বলেছে, যারা ভোট দেননি তারা প্রতিবাদী নন বলেই চিন ধরে নেবে।