ওয়েব ডেস্ক:- হায়দরাবাদে তরুণী পশুচিকিৎসককে গণধর্ষণকাণ্ডে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। ক্ষোভ ও প্রতিবাদের আঁচ পড়েছে সংসদের অধিবেশনে। সোমবার অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে সাংসদ জয়া বচ্চন হায়দরাবাদ গণধর্ষণকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেন। ধর্ষকদের আইনের সুরক্ষায় রেখে বিচার না করে তাদের দেশের জনসাদারনের হাতে তুলে দিলে উপযুক্ত শাস্তি পাবে তারা এমনটাই মন্তব্য করেন তিনি। তার ২৪ ঘন্টা ঘুরতে না ঘুরতেই চাঞ্চল্যকর খবর এসে পৌঁছালো। যা শুনে ক্ষোভ ফেটে পড়ছেন নেটিজেনরা। হায়দরাবাদ গণধর্ষণের ঘটনার পর ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টনীতে তাদের নিয়ে আসা হয় তেলেঙ্গানার চোরাপল্লি সেন্ট্রাল জেলে। এরপর একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে জানা যায়, জেলে নাকি রাজকীয় খানাপিনার আয়োজন হয়েছে ৪ গণধর্ষণকারীর জন্য।
জেলের খাবার রোচেনি তাদের, ৪ ধর্ষকের জন্য তাই রীতিমতো মটনকারির বন্দোবস্ত করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাজসিক হালে থেকেও রাতের ঘুম হারিয়েছে ৪ অভিযুক্তের। তাদের রাজার হালে রাখার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে নেটিজেনরা।
ধর্ষণের মতো এমন পৈশাচিক অপরাধ করেও কিভাবে শান্তিতে আছে ওই চার অভিযুক্ত সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে চঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছে ধর্ষিতার বোন। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার পর অভিযোগ জানাতে একের পর এক থানা থেকে ফিরেয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের। কর্তব্যে গাফিলতির জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে দুই পুলিশ কর্মীকেও।