বর্ধমান:- “বর আসবে এক্ষুনি/ নিয়ে যাবে তক্ষুনি” সেই বর আসার নতুন কায়দা দেখল বর্ধমানের কাটোয়াবাসী। বিয়ে করতে এসে বর বাড়িতে পা রাখতেই রীতিমতো গুলি চলল। না না, বর সুস্থই আছেন। বরযাত্রীও সুরক্ষিত। শুধু বরণ করার সময় শূন্যে গুলি করল কনের জ্যোঠামশাই। বর আসলেই গুলি ছোঁড়া, এটাই নাকি তাদের বাড়ির প্রচলিত রীতি রোওয়াজ! পারিবারিক পরম্পরায় এটাই নাকি গার্ড অফ অনার। শুধু পাত্রই নয় বাড়িতে নববধূকেও এইভাবেই অভ্যর্থনা জানায় কাটোয়ার মাধবীলতার মণ্ডল পরিবার। কনের জ্যেঠু রমণী মন্ডল বাড়ির প্রবীনতম সদস্য। বাড়িতে বর পা রাখতেই তিনি শূন্যে পর পর তিনটে গুলি চালান তিনি।
তাঁর অবশ্য বন্দুকের লাইসেন্স রয়েছে। এদিন টেলিফোন ময়দান এলাকায় মণ্ডল বাড়িতে চলছিল বিয়ের আসর। প্রতিবেশীরাও অনেকেই আমন্ত্রিত ছিলেন সেখানে। হঠাৎ-ই বিয়ের আসর থেকে গুলি ছোঁড়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। শব্দ শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। এই বুঝি কেউ খুন হয়ে গেল! তবে ভুল ভাঙতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি।
খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা কটোয়া শহরে। বরণ ডালায় বন্দুকের গুলি ফ্রি এমন কনসেপ্ট এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। সেই দোনলা হাতে দাঁড়িয়ে। কনের বেশেই। খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছয় পুলিশ। হকচকিয়ে যায় পরিবারের লোক। বন্দুকটি হেফাজতে নিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু সেটি যে লাইসেন্সপ্রাপ্ত? সেই লাইসেন্সও সঙ্গে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে এই ঘটনার পর কনের জ্যেঠুকে তলব করা হয় থানায়। প্রসঙ্গত, এদিন মণ্ডল বাড়ির মেয়ে পায়েলের বিয়ের আসর বসেছিল স্থানীয় একটি লজে। মাধবীতলার মণ্ডল পরিবারের কনে পায়েলের বিয়ে হয়েছে মাস্টারপাড়ার সৈকত মণ্ডলের সঙ্গে। বরণের সময় পুলিশের অনুমতি ছাড়া গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় আটক করা হয়েছে বন্দুকটি। লাইসেন্স থাকলেও তা আপাতত পুলিশের হেফাজতে।