ওয়েব ডেস্ক: অন্ধকার গলি থেকে রূপকথার রাজ্যে পৌঁছে যাওয়ার কাহিনী গল্পের বইয়ের পাতায় পড়া যায়। তবে এই কাহিনী বাস্তবের জীবনের। ভাগ্যের জেরে বা ম্যাজিক করে নয় বাস্তব প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করেই অসাধ্য সাধন করেছেন বেঙ্গালুরুর মধু এনসি। তাঁর কাহিনী আজ হাজার হাজার মানুষের অনুপ্রেরণা। সরকারি বাসে কন্ডাক্টারের কাজ করতেন মধু এনসি। সেই মেধার জেরেই UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, যা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় সাফল্য। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে তাঁর নিরলস পরিশ্রম ও মেধা। UPSC পরীক্ষায় পাশ করে উঁচু পদে সরকারি চাকরির স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। কিন্তু সত্যি হয় গুটিকতকের। আবার বছরের পর বছর চেষ্টা করেও অনেকের কাছেই অধরা থেকে যায় স্বপ্ন। কিন্তু বেঙ্গালুরুর এই বাস কন্ডাক্টর যা করে দেখালেন তা নিঃসন্দেহে বিরল ঘটনা।
দিনে আট ঘন্টা সরকারি বাসে টিকিট কাটার কাজ করেও UPSC পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দিনে পাঁচ ঘন্টা সময় দিতেন। বিশ্বাস আর অদম্য চেষ্টার জেরেই ২৯ বছরের মধু এনসি উত্তীর্ণ হয়েছেন UPSC পরীক্ষায়। ২৫ মার্চ ইন্টারভিউ দেওয়ার ডাক পেয়েছেন তিনি।গত বছর জুনে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাশ করে পরিবারকে চমকে দিয়েছিলেন মধু। ফলাফলের তালিকায় রোল নম্বর মেলাতে গিয়ে নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি।
উচ্ছসিত মধু বলছেন, এই সাফল্য তাঁকে মূল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ইচ্ছা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এথিক্স, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অঙ্ক ও বিজ্ঞান বিষয়ের উপর পড়াশুনোয় জোর দিয়েছেন তিনি। ভোর চারটে উঠে পড়াশুনো শুরু করতেন মধু, তারপর কাজে বেরিয়ে পড়তেন। বাড়ি ফিরে এসে ফের পড়াশুনো। সাধারণ বাসকন্ডাক্টর থেকে এভাবেই আইএএস অফিসারের পদমর্যাদায় পৌঁছে গেছেন বেঙ্গালুরুর মধু এনসি। তাঁর সাফল্যকে আজ গোটা দেশ তথা দুনিয়া কুর্নিশ জানাচ্ছে।