কলকাতা: হতে পারে চতুষ্পদ, তাই বলে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে কি যানবাহন প্রয়োজন হয় না? উল্টোডাঙা থেকে তার গন্তব্যস্থল গোবরডাঙা। সকালবেলা শিয়ালদহ থেকে ৯.৪৭ মিনিটের ট্রেনটি উল্টোডাঙা পৌঁছাতেই নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে ট্রেনে উঠে পড়েন হনুমান বাবাজী। জানলার ধার ফাঁকা পেয়ে বসে পড়েন দিব্যি। ট্রেনের যাত্রীরা হতবাক তাঁকে দেখে! কেউ কেউ ভয়ে গুটিয়ে গেছেন ততক্ষণে। হনুমান বলে কথা, কোন বিচিত্র নেই।
হনুমান বাবাজীর অবশ্য ভ্রুক্ষেপ নেই। জানলার বাইরের প্রাকৃতিক শোভা দেখতে দেখতে দিব্যি পৌঁছে গেল গোবরডাঙা। সেখানে নেমে অবশ্য কোনও গোল বাঁধায়নি সে। শান্ত মতো হেঁটে চলে তাঁর গন্তব্য জঙ্গলের উদ্দেশে রওনা দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন। উল্টোডাঙা থেকে গোবরডাঙা পর্যন্ত প্রতিটি স্টেশনেই তাঁর গন্তব্যের দিকে যথেষ্ট খেয়াল ছিল। ঘটনায় রীতিমতো অবাক নিত্যযাত্রীরা। নিত্যযাত্রীদের মধ্যে একজন গোটা ঘটনার ভিডিও করেছে।