Date : 2024-04-26

বিজ্ঞানের অবিশ্বাস্য ঘটনা, পৃথিবীতে ফের জন্ম তুষার ম্যামথের!…

ওয়েব ডেস্ক: খুব শীঘ্রই নাকি ফিরে আসবে তুষারযুগের ম্যামথ! সুবৃহৎ রোমশ হস্তির এই বিলুপ্ত বংশ ফিরিয়ে আনতে একটি বিশেষ প্রকল্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রজনন বিজ্ঞানী জর্জ চার্চ বোস্টনের আমেরিকান অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সভায় এ সপ্তাহে জানিয়েছেন, তিনি বছর দুয়েকের মধ্যে ম্যামথের একটি ভ্রূণ পেতে আশাবাদী। তাঁর মতে, এটি সম্পূর্ণরূপে সম্ভব। প্রসঙ্গত বলা যায়, শুধুমাত্র ম্যামথ নয় এর আগে পৃথিবীর আরও এক বিলুপ্ত প্রাণীর ক্লোন করা হয়েছে। ২০০৩ সালে স্পেনের পরীক্ষাগারে জন্মগ্রহণ করে বুকার্ড প্রজাতির এক ছাগল।

যদিও জন্মের পর মাত্র কিছুক্ষণের জন্য বেঁচে ছিল ছাগলটি। সেই থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে বিজ্ঞানী জর্জ চার্চ বোস্টন ম্যামথ তৈরির প্রকল্প শুরু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হন। ২৬ লক্ষ বছর আগে তুষার যুগের শেষে হারিয়ে যাওয়া ম্যামথের খুব নিকটতম জন্তুটি হল এশীয় হাতি। বিজ্ঞানী চার্চ বোস্টন তাঁর টিম নিয়ে এশীয় হাতির জিনে ম্যামথের জিন স্থাপন করার চেষ্টা শুরু করেছেন। ক্লোলিং-এর মাধ্যমে সৃষ্ট ম্যামথের গায়ের লোম, আকার ও চেহারার অন্যান্য বৈশিষ্ঠ তৈরি করার চেষ্টাও করছেন বিজ্ঞানীরা।

তুষার যুগে হিমশীতল আবহাওয়ার জন্য লোমশ ও চর্বিযুক্ত শরীরের কারণে প্রবল ঠাণ্ডা থেকে সুরক্ষিত থাকত ম্যামথরা। ধীরে ধীরে আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলুপ্ত হয়েছে ম্যামথ। এই প্রকল্পের প্রধান বিজ্ঞানী চার্চ জানিয়েছেন, নিখুঁত ম্যামথ তৈরি করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।

দশক শেষে জেনে নিন কি কি অ্যাপ সবচেয়ে বেশ ডাউনলোড হল

তবে তাঁর তৈরি হাতিটি দেখতে কিছুটা ম্যামথের মতো হবে। সৃষ্টি আগেই বিজ্ঞানী চার্চ এই হাতির নাম রেখেছেন, ম্যামফেন্ট। ২০১৭ সালে চার্চ ঘোষণা করেছিলেন, তিনি এশিয়ার হাতির ৪৫ টি জিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে ম্যামথের জিনের মতো করে দিয়েছেন।

তাঁর আর মাত্র দু’বছর লাগবে ম্যামথ তৈরি করতে, ২০১৯ সালে পৃথিবীর বুকে ভুমিষ্ঠ হতে চলেছে ম্যামোফ্যান্ট। তবে আরও এক লাভ ডানেল নামে এক জীবাশ্ম বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ম্যামথের জিনের সম্পূর্ণ রূপে তৈরি করা সম্ভব হয়নি। ম্যামথের ডিএনএ-র কিছু নির্দিষ্ট টুকরো আজও তাঁরা আবিষ্কার করতে পারেননি।

গরীব দুঃস্থদের কম্বল বিলি নাগরিক পাণিহাটি সমিতির পক্ষ থেকে

সেটুকু অংশ হাতির ডিএনএ-র অনুকরণে ভরাট করা হয়েছে। ম্যামথ বা ম্যামথের মতো প্রাণীকে ফেরাতে সেই জিনগুলি লাগবেই। এছাড়া বিজ্ঞানী চার্চ মাত্র ৪৫টি জিনের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন, কিন্তু হাজার হাজার জিনের পরিবর্তন এখনও বাকি।

এত প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে ম্যামথকে ফেরানো কি আদৌ প্রয়োজন? পৃথিবীর বুকে ক্রমশ বাড়ছে উষ্ণায়ণ। তাই ম্যামথের মতো প্রাণীর পক্ষে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। সাইবেরিয়ার প্লিসটোনিস পার্কে রক্ষণাবেক্ষন করা হচ্ছে তৃণভোজী প্রাণীর। সেই পার্কেই ক্লোনিং করা ম্যামথটিকে রাখা হবে বলে স্থির করা হয়েছিল। তবে ২০১-৯ পেরিয়ে গেলেও ম্যামথ আসেনি পৃথিবীতে। ২০২০তে কি ক্লোনিং-এর কাজ সম্পূর্ণ হবে?