Date : 2024-05-20

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে বিএসএফ

দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অন্তর্গত বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের সজাগ বিএসএফ জওয়ানরা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর 24 পরগণা, নদীয়া এবং মালদা জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে বেশ কয়েকটি চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে।

সীমান্ত চৌকি কল্যাণী ০৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা পিরোজপুর ব তেরাহ ঘড়িয়া গ্রামে কিছু নিষিদ্ধ জিনিসপত্র ও বাংলাদেশি টাকা থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য পান। এই তথ্য পেয়ে, একটি বিশেষ অভিযানের পরিকল্পনা করা হয় এবং পরে বিএসএফ দল সিনিয়র গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে তেরাহ ঘরিয়া গ্রামের লক্ষ্যবস্তু বাড়ি তল্লাশি করে। নবজীবন সরকারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তার বাড়ি থেকে ২৪১ বোতল (৭৫০ মিলি) ও ০১ হাফ বোতল (৩৭৫ মিলি) ভারতীয় তৈরি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ এবং ১,৩৬,৩৬০/- বাংলাদেশি টাকা করা হয়। তল্লাশি অভিযান ০৮ মে ১৩৩০ থেকে ১৭০০ ঘটিকা পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছিল। পুরো অভিযানটি ২১ বিজিবি, বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে পরিচালিত হয়। বিএসএফ দল আসার আগেই নবজীবন সরকার গ্রাম থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত সকল সামগ্রী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এছাড়া একই দিনে অন্যান্য ঘটনায় বর্ডার পোস্ট আমুদিয়া টি/পি, ১১২ ব্যাটালিয়নের কর্মীরা ০৯ কেজি গাঁজা এবং বর্ডার পোস্ট এমএস পুর, মাগুরকোনা ও পদমপুরের কর্মীরা নিজ নিজ এলাকা থেকে ১২১ টি ফেনসিডিল বোতল জব্দ করে।

জব্দকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা শ্রী এ.কে. আর্য, ডিআইজি বলেছেন যে বিএসএফ কর্মীরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালানের মতো অপরাধ বন্ধ করতে দিনরাত কাজ করছে এবং তাই এই ধরনের অপরাধের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বারবার তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করা হচ্ছে, যার কারণে চোরাকারবারিরা চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো চোরাকারবারীকে রেহাই দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন : অধিনায়ককে ধমক মালিকের, সমালোচনার মুখে গোয়েঙ্কা