সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনার জন্য কেন্দ্রিয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করার পাশাপাশি প্রতিটি বুথেই এবার ওয়েব কাস্টিং এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। শনিবারের ভোটে সেই ওয়েব কাস্টিং বা সিসিটিভি-র ফুটেজের কিছু অংশ এক প্রার্থী সোশাল মিডিয়ায় পোষ্ট করেন। কিভাবে এই ফুটেজ তিনি পেলেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অস্বস্তি ঢাকতে তদন্তের নির্দেশ দিল কমিশন।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- শনিবার রাজ্যের বাকি সাত আসনের সঙ্গে ভোট ছিলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক আসনেও। এই কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য এদিন বেলা একটা নাগাদ তাঁর ফেসবুক পেজে একটি বুথের সিসিটিভি ফুটেজ পোষ্ট করেন। পোষ্ট করে তিনি লেখেন “নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সোনাচূড়া অঞ্চলের ২৭৯ নম্বর গঙ্গা বাসুলি প্রাইমারি স্কুলে অবাধ ছাপ্পা দিচ্ছে বিজেপি! শুভেন্দু বাবু, লজ্জা করুন একটু..” তৃণমূল প্রার্থী এই ছবি পোষ্ট করার কিছুটা পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও কমিশনে এই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। যদিও অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে ওই বুথে কোনরকম ছাপ্পার ঘটনা ঘটে নি।
কমিশনের বক্তব্য, ওই বুথের ভিভিপ্যাট মেশিন খারাপ ছিলো। সেটাই পরিবর্তন করা হচ্ছিল। আর সেই ছবি দিয়েই ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করা হয়েছে, যা আদৌ সঠিক নয়। তবে কমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান এই ফুটেজ কোনমতেই কোন প্রার্থী বা সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার কথা নয়। দেবাংশু ভট্টাচার্য ওই ফুটেজ কিভাবে পেলেন সেটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই আধিকারিকের আরও বক্তব্য, এইসব ফুটেজ একমাত্র কমিশনের কাছেই থাকার কথা।
যদি কখনও কোনো অভিযোগ ওঠে সেক্ষেত্রে প্রমাণ হিসাবে ভিডিও ফুটেজ যাতে সামনে আনা যায়। কিন্তু এই ফুটেজ ভোটের কাজে কর্মরত কোনো সরকারি কর্মি বা আধিকারিক ছাড়া কোনমতেই বাইরে যাওয়ার কথা নয়। এক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। ফলে যিনি বা যারা অন্যায়ভাবে এই ফুটেজ লিক করেছেন তিনি বা তারা অবশ্যই শাস্তির কবলে পড়বেন। সেই কারণেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন : ফিটনেস নথি না থাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের থেকে বেআইনিভাবে মোটা টাকা খসাতে গিয়ে বিরম্বনা বাড়লো পরিবহন দপ্তরের