ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: একদিকে ফিটনেস নথি না থাকার জন্য সাড়ে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আবার একই সঙ্গে সেই ট্রাক নিয়ে গিয়ে ধরে রাখা হয়েছে একটি বেসরকারি গাড়ির খোয়ারে। প্রায় আট মাস ধরে সেই গাড়িকে ১৭৫ টাকা প্রতিদিন ভাড়ার খোয়ারে কোনও নথি ছাড়াই আটকে রাখায় হাইকোর্টের সমালোচনার মুখে পড়তে হলো বর্ধমান আঞ্চলিক পরিবহন বিভাগকে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি শুভা ঘোষ নির্দেশ দিয়েছেন, ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকায় সাড়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে দিলেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই ট্রাক ছেড়ে দিতে হবে আঞ্চলিক পরিবহন বিভাগকে। আদালতের বক্তব্য, পরিবহন দপ্তর জরিমানা হিসেবে টাকা ধার্য করেছে। তারপরে গাড়িটিকে এক কথায় আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু তার কোনও সিজার লিস্ট করা হয়নি। যা বেআইনি। মামলাকারীর আইনজীবী অরিন্দম দাস আদালতে বলেন, গাড়ির যথাযথ নথি না থাকায় তাকে একদিকে জরিমানা করা হলো, আবার একই কারণে সেই গাড়ি বেআইনিভাবে আটক করা হলো। একই অপরাধের একই সঙ্গে দু’রকম সাজা হতে পারে না। আসলে দাবি করেও মোটা টাকা হাতাতে না পেরে ট্রাকের মালিকের টাকা অন্যভাবে খসিয়ে দিতেই গায়ের জোরে ট্রাকটি বেসরকারি গ্যারেজে আটকে রাখা হয়েছিল বলে আদালতে ইঙ্গিত দেন ওই আইনজীবী।
হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরে রাজ্যের পণ্য পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ট্রাক মালিকরা আশার আলো দেখছেন। তাদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে সামান্য ত্রুটি পেলেই নানান ছলচাতুরি করে ট্রাকের থেকে মোটা টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন কিছু অসাধু অফিসার ও কর্মী। কোথাও কোথাও এদের সঙ্গ দেয় পুলিশও। আর যেহেতু কমার্শিয়াল গাড়ির ব্যবসা করতে হয়, তাই বহু ক্ষেত্রেই মালিকরা মেনে নিতে বাধ্য হওয়ার ওইসব বেআইনি দাবি-দাওয়া। কিন্তু হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরে এই নিয়ে তারা বৃহত্তর স্বার্থে প্রচার করতে চান।
আরও পড়ুন : সোনাচুঁড়ায় ছাপ্পা। দেবাংশুর অভিযোগ ওড়ালো কমিশন