সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লাল। সোমবার তাঁর পরিচারকের বাড়িতে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তল্লাশিতে সঞ্জীব লালের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৫ কোটি ২৩ লক্ষ হিসাব বহির্ভূত নগদ টাকা। এরপরই মঙ্গলবার ভোরে সঞ্জীব লাল এবং তাঁর পরিচারক জাহাঙ্গীর আলমকে রাঁচি থেকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাতভর সঞ্জীব লাল ও তাঁর পরিচারক জাহাঙ্গীর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইন অর্থাৎ PMLA act- এ অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সোমবার রাঁচির একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় ইডি। ফ্ল্যাটটি রয়েছে সঞ্জীব লালের পরিচারক জাহাঙ্গীরের নামে। ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন দফতরের অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি। এই তদন্তের সূত্র ধরেই মন্ত্রীর পরিচারকের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। ওই ফ্ল্যাট থেকেই ৩২ কোটি টাকারও বেশি নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ফ্ল্যাট ছাড়াও আরও কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মোট উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৩৫.২৩ কোটি। সোমবার রাতেই উদ্ধার হওয়া টাকা ট্রাঙ্কে ভরে ইডি আধিকারিকরা নিয়ে যায়। ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগীর আলম, আগেই জানান কোনও অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত নন তিনি। আর্থিক তছরুপের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রামোন্নয়ন বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কে রামকে গ্রেফতার করে ইডি। বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ টাকা নয়ছয় করেন তিনি বলে অভিযোগ। ২০১৯ সালে বীরেন্দ্রর এক অধীনস্থ কর্মীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপরই PMLA act-এর অধীনে মামলাটি ইডির হাতে যায়। ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বীরেন্দ্র কে রামকে এই তহবিল তছরুপ মামলায় গ্রেফতার করেছিল ইডি। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি, জামশেদপুরসহ বিহার এবং দিল্লির বেশ কয়েক জায়গায় অনুসন্ধান চালানোর পর সেই সময় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।
আরও পড়ুন : ঘনঘটার মুর্শিদাবাদে সকাল থেকেই ভোট ময়দানে সেলিম